গ্রামের চালচিত্র
(১)
মনের আলপথে হাঁটতে হাঁটতে
চোখের কাজলে হাসি খুঁজে পাই সুতির সালোয়াড়ে
খুঁজে পাই ঐশ্বরিক শীত সরষে খেতের ফিঙে লেজে...
শালিখগুলো কী যেন বলছে ফড়িংয়ের দলকে...
শামুক ধনে পাতা ও লাল শাকের সাথে গল্প করছে।


আমি বাস রাস্তায় ধুলোর সামনে দাঁড়াই।
তুমি বাসে উঠতে গিয়ে থমকে গেলে...
তোমাদের গ্রামের ছেলেমেয়েগুলো সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে।
তুমিও দুটো বাচ্চার সাথে গল্প করতে করতে
হাঁটতে থাকলে।


অফিসে চাকরি করো। অনেক বড়ো পোস্ট...
আর আমি দারোয়ান স্কুলের।
ঘন্টা বাজানোই আমার কাজ...


স্কুলবেলা থেকে তোমার জন্য কেনা
বেল ফুলের মালা আর দেওয়া হয়নি,
আমার ট্রাঙ্কের বইয়ের পাশে রাখা আছে
তোমার হেয়ারব্যান্ড...


যা তুমি এখনও খোঁজো অফিসের রেজিস্টারে।


(২)
সত্যই কী খোঁজো! শুনলাম বিয়ে করছো...
ভালোই হলো, স্বপ্নের সিড়ি এখন একুশ তলায়
ইঞ্জিনিয়ার বর। শুনেছি সেও নাকি তোমার অফিসে এসেছিলো
জরিপের কাজে -- কারখানা হবে এখানে।


ক্ষেতের মাটিতেও অ্যানসিলিয়ারি প্রোমাটিং রাজ...
ওরা তিন ফসলি জমি বোঝে না, ওরা বোঝে মুনাফা।
তুমিও হেয়ারব্যান্ড ভুলে শিখে নাও হেয়ার ড্রায়ার
গ্রামের প্রতিটা ঘরেই তো এখন সিরিয়াল হয়,


দারোয়ান হলেও বুঝি – শিশুদের মনগুলোও কর্পোরেট


ভাগ্যিস আমার বিয়ে হবে না – কোনও দিন।