মুখোশের আড়াল থেকে সুপ্রভাত নামলে
শুভরাত্রির গন্ধরা কেমন বিষাদময়
জ্যোৎস্নার অমাবস্যা হয়ে ওঠে।
মা কালীর মতো রূপ ভয়ংকরতা
গ্রাস করে জটিল কুটিল হিসেবকে।


তবু শিশুর দল হেঁটে চলে,
বহুদূরের ধুলো পাহাড়ে
একটা গোলাপের খোঁজে।


গোলাপ গাছ মরে যেতে চাইছে বারংবার।
কে মরতে দেবে সেই যাপন,
সুপ্রভাত আর শুভরাত্রির মাঝে...


তুলাদন্ডের হাসিতে লেগে রয়েছে শূন্যতা।
যা কিছু করছি,
লোক দেখানো গোরু, ক্ষেত, ধানগাছ
নিদেনপক্ষে আলুর চাষ
সবই বাঘের দৃষ্টিতে বন্দী।


শুভরাত্রি বলার পরেই
একটা বাঘ নেমে আসবে
নখ দাঁত নিয়ে।


স্বপ্ন দেখতে পারে না নিরন্ন ভারতবাসীরা,
তাঁরা ভাবে কাল কী করে খাবো,
শিশুরা সূর্যকে গোলাপ ভাবলেও
চাষীরা জানে ঐ সূর্যের রোদে
ফসল সোনালী হবে না ক্ষরায় মৃত্যু ঘটবে
আরেকটা প্রাণের।


আত্মঘাতী কেউ এমনি এমনি হয় না এই পোড়া দেশে।
এই দেশ কেবল চাঁদকে পিৎজা বলতে শেখায়নি
শিখিয়েছে গ্রাস করতে গরীবের অন্ন
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রসূর্য গ্রহণ কোটি টাকার জালিয়াতির মতোই
সত্য ও অকৃত্রিম।