বৃষ্টি শেষের রাত ঘুমে জড়িয়েছে তুলসীমঞ্চ।
প্রদীপ জ্বলা ভোরে আরণ্য পাখির কলতান
মাথার গভীরে রংপোখোলার শব্দ,
মিশে যাচ্ছে ঝরনা শ্যাওলার ফার্নে।

কুয়াশা জীবন পেরিয়ে গেলেই
আঁকা বাঁকা পথসাপ
অপেক্ষা করছে শীতল মাদকতায়।

একটা রঙিন ফুল
একটা বেঁচে থাকার উপহার
দাঁড়িয়ে রয়েছে।

এসবের পরও মোহময়ী কলকাতায়
ফিরতে হয় হলুদ ট্যাক্সির খোঁজে,
এ শহরে কেউ প্রিয়তমার কথা জিজ্ঞাসা করে না,
শুধু খুঁজে বেড়ায় খাদ্যদানা, অর্থশব্দ
আর
একটা রাজনৈতিক গদি,
রানি তোর কাপড় আগেও ছিলো না,
এ কথা বললেই হাজতবাস,
এ কথা বললেই-
চড়ুই পাখির মতো
শেষঘ্রাণের শব্দ
শুনতে পাবে বন্যার জলে।

তিস্তার জল এতোটা বেড়ে যাবে
হুগলীও কল্পনা করতে পারেনি।

আর কত লিখব আকাশগঙ্গায় বসে
আমার এক কাপ কফি চাই,
পঞ্জিকার পাতা ফেলে
একবার মোহময়ী কলকাতার পাঁচ মাথা মোড়ে দাঁড়াও,
ওখানে কফি গন্ধ নেই
লেগে রয়েছে কাল রাতের
শেষ খুন হয়ে যাওয়া শব্দ
আর
এক রানির ছেড়া পোস্টার।