সীতার দুঃখরা দ্রৌপদীর মতই সত্য
জীবনের হাসিমুখ, এসব বিষয়ে পথ্য।


আলো লেগে থাকে, ক্ষত চাঁদের গায়ে
আঁচল পাতা ভালোবাসা, জন্মদাত্রী মায়ের।


নবীন পাতায় বনবাসের গন্ধ, অন্ধ রাম
সীতা মন থেকে ভালোবেসেও, বদনাম।


মাটি ভেদ করে কতদূর যাবে পুরুষের থেকে
মধ্যপদলোপী তৎপুরুষের মতো নারীরা জেগে।


রামনবমী হয়, সীতানবমী কেবলই অলীক কল্পনা
রাধাও হারিয়েছে মহাভারতে, ব্রাত্য রাধার বারসানা।


নারীরা আগেও দাম পায়নি, আজও পুরুষের মাথা
তবু দেখো সবকিছুতে, এই নারীরাই নীরা ছাতা।


মা, স্ত্রী, বান্ধবী, কাকীমা, মামীমা, মাসিমা- নানা উপনাম
রামনবমীতে জানাই সকল মা আর পৃথিবীকে প্রণাম।


তবু কিছু নারী ভুল করে রোজ, ধর্ণা মঞ্চে বসে
কিসের অণুপ্রেরণা তারা, চটিসুখ জীবন প্রয়াসে।


ভুলগুলো বুঝতেই হবেই নারীশক্তি, এখনও সূর্য আছে
কাস্তে হাতে শ্রমজীবীরা পৃথিবীকে মাতিয়ে রেখেছে।


নারী শক্তি ভয়ংকর ভুল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে
সংশোধন না করলে, নদীতেই যাবে যে বয়ে।


ভালোর মাঝে মাথা পাগলি, এবার বুঝতে শেখো
কবে ভুলবে চুরিকে ঢাকতে চোর সাজানো শোকও।


বয়স তো তিন কুড়ি পার, এবার ক্ষান্ত দাও জ্বালাতন
চুরির রাজ্যে কবিতা কাব্যহীন, হোক সঠিক সমাপতন।