হতাশার চাদর আমার আবৃত করেছে,
তাই আমি আজ শহর-নগর-গ্রামে, ধুলো-বালি জল
চেটে চেটে খাই কারণ ধুলো খাওয়াই আজ আমার কাছে শ্রেয়।
চারিদিকে আলো জলার ঝলকানির হাওয়া ভরা প্রত্যাশা
আমায় আনন্দিত পুলকে গভীর খাঁদের ধারে
ধীরে ধীরে নিয়ে গিয়ে, মিষ্টি হাসি হেঁসে,
বলেছিল, তুমি হেরো, তুমি ফেলনা
জগত সংসারের প্রখর রৌদ্রে ব্যর্থ খেলনা।
তোমায় নিয়ে কেন করব লড়াই
তোমায় নিয়ে কেন ভাবব,
এখন শুধু তোমার ঘারে
লজ্জা, লাঞ্ছনার বোঝা চাপাবো।

আমার মুখে তাই স্বপ্ন বিরিয়ানি, রোল
ধুলি মাখা স্বপ্ন রাস্তায় চোখের জলের ঝোল।
খেতে ভাললাগে, মনে জাগে তৃপ্তি
পাঠক বলছে পাগল হল, একি অনাসৃষ্টি।
আমি বলছি ঠিক করেছি, ঠিক শিখেছি
ধুলোর উপর বসে, ধুলোই আমায় প্রাণ জোগাবে।

অনেক দুঃখ এলে,
মাটির মধ্যে প্রবল প্রাণের প্রচন্ড উচ্ছাস
এই জীবনে টাকার ছাড়াও পড়ছে তোমাদের প্রশ্বাস।
ছন্দছাড়া, হিসাব ছাড়া আমি ধুলোর বর
ধুলো বলে আমায় নিয়ে,
কে বলেছে তুঁই কি আমার পর।
হাসি জেগেছে, প্রাণ জেগেছে,
সবই মনের খেলা
নাই বা হলেম এ জীবনে,
ফ্ল্যাট, গাড়ি আর অ্যাচিভমেন্টের মেলা।


************
ধুলো চাটি, মাটি খাটি,
প্রেম বিলাবো বলে, মাটির পরে মাটির তরে
জীবন যাবে চলে
আমারই মতন তোমাদের মতো অসহায় কিছু প্রাণ
জড়িয়ে এসে পরে, মাটি বাঁচান বলে
কান্না-কাটি করে
আমি ভাই আমার কান্না নেবে কত মাটি
তোমরা সবাই ছিলে যারা মেধাবৃত্তিতে খাঁটি।

মাটির উপর এসে পরো
মাটিকে কর চুম্বন
ধুলোর সাথে মাটির আমি-র চলছে মহা মিলন।

এসব আবার, লিখছি বলে
বল না ভাই কথা
এই গিমিকি বাঙালি প্রাণের, ভালবাসার কথা
বাঙালি জাতি চাইছে এখন প্রচন্ড-প্রচন্ড এক সুখ
সে কারণেই বাঙালির আজ কপালে এই দুঃখ,
আমি তুমি এসো সবাই ধুলোতে যাই মিশে
তাহলে ধুলো বাবা, মাটি বাবার পথগুলো সব
হবে যান ফিকে।