কবিতার প্রতিবাদে পেরেক থাকে। সেই পেরেকে আমি কেঁদেছি। রক্ত পাত হয়েছে মনে। তোমরা সে সব কথাদের হাসি মস্করা ভেবেছো। ভালো। তবে কবিতার ভালবাসা আমায় বিদ্ধ করেছে। অপ্রকাশিত এই মৃত্যু ভালবাসা, গালাগাল, প্রতিবাদ সবটাই মন কেমন করে। কবিতায় বুঝেছি এই কবি ক্ষেত্র আমার মতো ভাবুকের নয়। আমার শরীরে নতুন স্পর্শ আছে। অনুভূতি আছে। এই বিদ্ধ পেরেকে যে কবিতা নেই। তবু আমি ধনুষ্টংকারে মরি নি। আমি জেগে উঠে আবার কবিতা লিখতে শুরু করেছি। আমি কবিতার পথ ধরে হেঁটেছি। কবিতার পেরেকে আমার কষ্ট হয়েছে। মনে হয়েছে সমাজ একটা চ্যালা কাঠ। সেই কাঠ দিয়ে আমায় মারছে। আর সেই কাঠে থাকা পেরেক আমার মনের জানলাদের ভেঙে দিচ্ছে। কবিতার এই সব দেখে খুব খুব খুব কষ্ট হয়। তবু কবিতার আঁচলে ফিরে আসি। কেন আসি তা আপনারা আমার কবিতা পড়লেই বুঝতে পারবেন।
শুধু কবিতার মাঝে থাকুন। কবিতায় বিদ্ধ হন। ঋদ্ধ হয়ে আবার কবিতাই লিখুন। কিছুটা ভাব পাঠকের উপর ছেড়ে দিন। দেখবেন কবিতার ভাষারা অনেক বেশি স্পষ্ট হবে। কবিতা নিজেই নিজের অধিকার বুঝে নেবে। পেরেকের মতো কিছু শব্দে কবিতা হয় না। কবিতা যদি সত্যই জীবন্ত হয় সে পাল্টে দিতে পারে গতি, চলাচল। প্রকৃতির নিয়ম তখন কবিতার বশ মানতে বাধ্য। যেমন আমার অনেক কবিতায় আকাশ কাঁদে। অনেক কবিতায় প্রকৃতি হাসে। কবিকে পাগল ভাবতে পারেন, কিন্তু কবিতা পাগল নয়, কবিতা পাগল করে দেবে আপনাদের। একবার সেই পেরেককে খুঁজে বের করুন, সেই শিখিয়ে দেবে কি করে মানুষের মন থেকে নোংরা মনুষ্যত্ব বের করে শান্তির বাণী তাতে প্রবেশ করাবেন। আমি একটু খুঁজে আসি সে সব কিছু কবিতার উপত্যকায়।