কবিতার আলাদা প্রদেশ আছে। কবিতার আলাদা চেতনা আছে। কবিতার আলাদা সভ্যতা আছে। কবিতার আলাদা ভাবনা আছে। প্রদেশ, চেতনা, সভ্যতা ও ভাবনা কিন্তু ফুটিয়ে দেওয়ার মতো কাজ করে না। আসলে কবিতার আরও অনেক কিছু রয়েছে। সকলের পক্ষে কবিতা বোঝার সময়টাও এক নয়। আমি আজ যে কবিতা বুঝি অন্য মানুষ অনেক পড়ে বা অনেক আগে তা বুঝে গ্যাছে। বা বোঝেনি দুজনেই। বিষয়টা গোলমেলে। আসলে কবিতা শরীরে রয়ে যায়। শরীর বলা ভুল আত্মার ভিতর চিরস্থায়ী অবস্থান করে। কবিতার নিজস্ব কি অভিব্যক্তি রয়েছে। তাই কবিতা ইঞ্জেকশন নয়। কবিতার ভালবাসা তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলে। কেউ বুঝতে পারে, কেউ পারে না।
রবি ঠাকুরের কবিতা, বয়সের সাথে সাথেই মানে পাল্টে পাল্টে আমার কাছে আসে। কেন আসে জানি না, তবে আসে। কবিতার এই মর্মার্থ আমায় নতুন করে ভাবায়। তাই কবিতাকে ইঞ্জেকশন বলতে পারব না। যে কবিতা লিখে দিলাম, আর চটজলদি ফলাফল পেয়ে যাব। কবিতা তার নিজের সময়কে নিজে উপলব্ধি করবে। এগিয়ে চলবে সভ্যতা। তাই যতই প্রতিবাদ সত্ত্বা দিয়ে সমাজকে পাল্টে দিই না কেন, সমাজ পাল্টাবে না। সমাজ পাল্টায় না। সমাজ তার নিজের সময় কবিতাকে খুঁজে ন্যায়। এই যে আইসিস তার নিজের নিয়মে চলে, নিজের ধর্ম তৈরি করেছে তা যে মিথ তাও বুঝবে। সেদিন হয়তো মানুষ হওয়ার কথা, কবিতার মনুষ্যত্বকে খুঁজে নেবে। ঐ সব ঐতিহাসিক ভুল ছিল সন্ত্রাসীরা বুঝবে। তখন সন্ত্রাসের থেকে পিছিয়ে আসবে। আসলে কবিতা মানুষের ভালোর কথা বলে। সেটা সকলে বোঝে না। এই ভালো মন্দ বুঝতে শিখলেই কবিতাকে কবিতার মতো দেখবে। তাই কবিতা কোনও জটজলদি ইঞ্জেকশন নয় যে ফুটিয়ে দিলাম আর অসুখ সেরে গ্যালো। সমাজের গভীর অসুখ। সমাজের গভীর ব্যাধী। সারতে সময় লাগবে। কবিতা লিখুক সকলে, ইঞ্জেকশন তো বোকারা লেখে...আমি লিখি সৌভ্রাতৃত্বের কথা। কবিতায়...