তোমরা মানুষ খুঁজেছো। তাই কবিতা দিয়ে মানুষকে বুঝিয়েছ। কি করে আমরা আরও ভালো থাকতে পারি...
বেশ করেছ। কবিতা তো মাধ্যম। বেঁচে ও বাঁচিয়ে রাখার। কবিতা তো নিজের আয়না। কবিতা নতুন করে লেখে না কিছু। সবটাই আগেই লেখা হয়ে গ্যাছে। নতুন করে জামাকাপড় পড়িয়ে বেরিয়ে আসি মন সাগরে। মন জানে কবিতার রাজ্য বড় একা। সেই মনের ভিতর আলাদা আলাদা কুঠুরি যে আগেই রচিত। কবিতায় সে সব ঘরে আমরা ঘুরে আসি। কবিতার রাজ্য অনেক বড়। উপত্যকায় রক্ত তা বুঝবে না।
কবিতার ভিতরে মন্ত্র আছে। কবিতা পাওয়ার ভাব আছে। কবিতার নিজস্ব চেতন আছে। আমরা শুধু সে সব পথগুলো পেরিয়ে আসি। এড়িয়ে গিয়ে কাব্যগ্রন্থ তুলেনি। কিন্তু নিজের জন্ম কথার গাঁথায় যে কবিতার সাগর লুকিয়ে সে মোহনায় ভাসাই। কবিতা তো রাজ্যময়। তোমার আমার শরীর জুড়ে কবিতারা থাকে। কবিতারা আছে। সে ভাবনায় উত্তরণ হতে গেলে সময় লাগে। সেই সময় খুব অবাক করা এক মাহাত্ম্য... সকলে সে পথের খোঁজ পায় না। তাই কবিতার রাজ্য অনেকের অধরা। তবু সব পথ সেখানেই মিশবে। আজ যে দোষ করছে, যে ভাবছে আমার সাথে অনেক মানুষ, অনেক লাইক, অনেক কমেন্ট, অনেক সেলফি, সেও বুঝবে কবরে সেও বড্ড একা। সে নিজেকে বাঘ ভাবুক, কিন্তু বাঘ তো বনেই জন্মায়। সেখানেই তার আচরণ দৃঢ় হয়। লড়াই, দৌড় সেখানে। শহুরে আমাদের সে লড়াই নেই। কবিতার রাজ্য অন্তরে। অন্তরের জঙ্গলে মনোনিবেশ করো। তবে তুমিও বাঘের মতো দৃঢ় হবে। তবে কঠোরতা আপেক্ষিক। আমি তো বাঘিনী হতে চাই। বার বার মাতৃস্নেহ দিতে চাই... সেই কবিতার খোঁজেই পুরুষ জন্ম উপেক্ষা করি, এগিয়ে চলি কবিতার রাজ্যে।