কথা বলা, না বলা, একীভূত হওয়া, বিদায় বলা চলতে থাকে। কবিতার মধ্যে দিয়ে আরশিনগর এগিয়ে চলে। এগিয়ে চলে আমার স্বপ্নপুরাণ। এগিয়ে চলে আমার ঐতিহাসিক ভাবনাচিন্তা। কবিতা তবু সত্যতা খুঁজে ন্যায়। যদি আমি কবি না হই সময় আমাকে নিজেই থামিয়ে দেবে। সময় এত নিন্দে করবে, এতটা মুখ ঘুরিয়ে নেবে যে কবিতা বলবে এবার থাক। মজাটা হল কবিতা আমার দিক থেকে কখনও মুখ ফিরিয়ে ন্যায়নি। কবিতা তার নিজের পথে, নিজের মধ্যে, নিজের ভাবনায় এগিয়ে চলেছে। কবিতার নিজস্ব ধারা প্রতি মরসুমের বর্ষার মতো।
আমার লেখা কেউ তেমন পরে না। কবিতা তো বোঝেও না। তবু ওয়েবসাইটের নেতারা নজর রাখে। এটাও তো পাওয়া। কবিতার এই প্রহরীরা আজ এসেছে। ভাল। এতে কবিতা একদিন সত্য কবি খুঁজে পাবেই। এই চেতনা, এই ভাবনা ভাল। কারণ এই সময় উপযোগী কাজে দরকার। যেখানে ভাষা বিলুপ্তির পথে। যেখানে বাঙালি অনেক বেশি পাশ্চাত্য ধর্মী, সেখানে কবিতার জন্য বাঁচতে শেখা, বাঁচিয়ে রাখা দরকার।
কবিতা কিন্তু টেনে টেনে বড় করা যায় না। কবিতা চলতে থাকে নিজের মতো। কবিতা তার নিজের মতো করেই চলুক। হয়তো একদিন আসবে এক লাইনে কবিতা লেখা হবে। কবিতা নতুন এক চেতনা। কবিতা এক ভাবনা। তা ছড়িয়ে পড়ুক। যখন থাকব না, তখনও এই শব্দগুলো যেন থাকে। জানি আমি মুর্খ, তাই আমার লেখা নিয়ে গবেষণা হবে না, তবু কবিতা থেকে যাবে কবিতার মতো। একদিন যদি এই সব কবিতা পড়ে একবারের জন্য কাঁদে, তবে বুঝতে হবে আমার আত্মার কোনও স্থানে কবিতা ছিল, পরজন্মেও হয়তো থাকবে। আবার জন্ম হবে কিনা জানি না, কবি জন্ম, বাংলা ভাষায় আমি সার্থক। আমার এরপর মৃত্যু হলেও ক্ষতি নেই। আমি পেয়ে গেছি মানব জন্মের সুখ...কবিতা তাই সুখের মূল, তা বুঝেছি মর্মে মর্মে...