কবিতার দেশে স্বপ্ন আছে। সেখানে হত্যা হয় বাস্তবতার। এটা বলে দেওয়া সহজ কিন্তু সেটাই বাস্তব নয়। কবিতার প্রস্তুরীভূত কান্নারা কত বছরের, কত দিনের কেউ জানে না। কবিতার নির্দিষ্ট সব কেচ্ছা আছে। সে সব ভাবনারা কবিতা হয়। কবিতা তো হতেও পারে এক জীবনের কথা। কবিতারা এগিয়ে চলে। কবিতারা বলেই চলে। কেউ কেউ থেমে যায়। চুপ করে শোনে। শুধু জীবনে একটি কবিতায় লেখে। চুপ করে একবারই লেখে।
কবিতার নিজস্ব এক দেশ আছে। কেউ শুধু পড়তে থাকে। কেউ শুধু বলতে থাকে। কেউ শুধু বলাতে থাকে। কি বলে, কেন বলে, কি ভাবে বলে...তা কেউ জানে না। কিন্তু বলে। কবিতার দেশে সে কথা হয়। সেখানে জোনাকি দিনের আলো হয়, আলোরা রাতের তারা হয়, মণির মধ্যে সেই তারা ধরা দ্যায়, আবার পূর্ণিমার যীশুরা সেই তারাদের পিৎজা বলে খায়। তাদের কাছে ডেনরাইট গন্ধরাই বেঁচে থাকা, তাদের কাছে জীবন মানে নেশাতে ভাল থাকা। এই শহর কবিতার শহর। এ শহর আসলে সব, শব। শববাহী গাড়িতে আমিও কাঁচের আড়ালে মৃত্যু চুল্লী...এ ভাবেও কবিতা আসতে পারে। এভাবেও কবিতা আসে। কবিতারা এভাবেও ভালবাসে। এক জীবনে কবিতা না লিখেও কবিতা লেখা হয়। কবিতাই মানুষের মানবতার একমাত্র প্রত্যয়।
কবিতা কী ভাবে এগিয়ে যায় তা বুঝতে বুঝতে হারিয়ে যায় বেলা, যারা বোঝে না তারা নিন্দে করে, আর যারা চুরি করে বা বুঝতে চায় না, শুধু স্ট্যাটাস চায় তারা কবিতায় গা ভাসিয়ে দ্যায়। এই আমার লেখা কবিতার দেশ হয়তো চুরি হবে, তবে জানব বাংলা ভাষাতেই তা চুরি করবে নিন্দুক। ভাল। করুক। একদিন তার বিবেক তাকে বলবে চুরি করাই কবিতা। কবি প্রকৃতির থেকে চুরি করে আর তুমি করো কবির থেকে। তবে চুরি কিন্তু আসলে কিছুই হয় না। প্রকৃতিতে থাকা কবিতারা প্রকৃতিতেই থাকবে। শুধু আমি আপনি চলে যাব, রয়ে যাবে এই ওয়েবসাইট। রয়ে যাবে লেখা। রয়ে যাবে অজস্র কান্না...চিরন্তন।