আমরা নিজেদের যতই কবি মনে করি না কেন, কবিতা আমরা লিখতে পারব না। কবিতার দেশে আমরা রয়েছে। এই দেশের, এই গ্রহের নিজেস্ব কবিতা রয়েছে। আমরা শুধু সে সব কথা চুরি করে প্রকাশ করে দিচ্ছি। কবিতার নিজেস্ব কিছু ভাবনা চিন্তা রয়েছে। কবিতা তার নিজের পথ ধরে এগিয়ে চলে। কবিতা নিজের মতো করে আমাদের দিয়ে লিখিয়ে নেয়। লক্ষ্য করে দেখবেন সময়ের সাথে ব্যাকরণ ও বাক্য বুনন পাল্টেছে। আমরা এখন নিজের মতো করে গুছিয়ে নিচ্ছি। আসলে কবিতা তার নিজের কাজ নিজে করে। নদীর পার ভাঙছে, সভ্যতা পাল্টাচ্ছে। আর নতুন নদী উপত্যকা গঠিত হচ্ছে।
তেমনি আমার লেখাগুলো আসলে কবিতা নয়। যা সাধারণ মানুষের কথা বলতে পারে না, তা আমার কবিতা হতে পারে না। আমার কবিতা স্পষ্ট ভাবে গদি উল্টে দিতে জানে না। যারা দেশের ক্ষতি করার করেই চলেছে। সে বাংলাদেশে বা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা সর্বত্র। বাংলা ভাষার ক্ষতি কিছু মৌলবাদ করেই চলেছে। অনেকটা দিনের বেলা ডিঙ্গু মশার ডিম পাড়ার মতো। শালারা ডিম পেড়ে যায় স্বচ্ছ জলে। আমার আপনার ঘরে। তেমনি কবিতার মধ্যেও কিছু পরজীবী জুটবেই। এটাই ভবিষ্যৎ... তবে ধ্বংস হবে এরা। নতুন করে মুক্তি পাবে মুক্তি পাওয়ার আনন্দ। অনির্বচণীয় চেতনায় মুক্তি পাবে স্নিগ্ধ আবেশ। আবেশিত জ্যোতি। পূর্ণ হবে কবিতার দেশ। খুঁজে পাবে শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতর।