কবিতার চেষ্টাই আসল বিষয়। আসল বিষয় কিনা জানি না কবিতা নিয়ে আসে চেতনা মুক্তি। কেউ তা আবৃত্তি করে বলে, কেউ তা চুপ করে বলে। সমাজে কবিতা চুপ হয়ে যায়। এতো বেশি যন্ত্রণা। তাই চুপ থাকে পৃথিবী। পৃথিবীর এক নিজস্ব পথ রয়েছে। সেই পথে নানা ভুল হয়। নানা না জানা কথা হয়। তবু চলতে থাকে কবিতা। যে সমস্ত কবিতা তোমরা প্রকাশ করতে পারো না সেই কবিতাই তো কবি লেখে।
তবে এখন যুগ বদলেছে। এত বেশি সাবলাইম কবিতা বিশ্বাসী মানুষ এসেছে যে সবাই দারুচিনি দ্বীপ খুঁজে চলেছে। কবিতা তো তা নয়। যে কবিতা সকলের কাছে পৌঁছে যায় সেই লেখাই সৃষ্টি করে নতুন চেতনা। সকলের কাছে পৌঁছানো কঠিন। রবি-নজরুল পারেনি। সমাজের সকলকে সহজ ভাবে জীবন বোঝানো কঠিন। তবে কবিতা তো কবিকে মুক্তি দেয়। সেই পথ ধরে এগিয়ে চলে অতি নাটকীয়তা।
কবিতার ভিতর লুকিয়ে থাকে কবিতা। সেটা বুঝতে হবে। সহজ করে যা বলা হয়, বাস্তব চেতনায়, সেই লেখা চলতে থাকে। চলতে থাকে অপরিসীম এক টানাপোড়েন। কিছু নিন্দুক ভুল বানানের কথা বলে, আবেগ কিন্তু বানান মানে না। আবেগ দিয়ে লিখুন। লেখান। তবে কবিতার মধ্য ভাবনা খুঁজে বের করুন। কবিতা যেন বোধগম্য হয়। হোক না সামান্য চেষ্টা।
আরে অসামান্য চেষ্টা করে কবিতা হয় না। বিজ্ঞাপন হয়। কবিতা মনে ঢুকে গেলে তা কিছুই বলে না। তা জীবনকে চালনা করে। অসামান্য কবিতা নিয়ে যারা লাফালাফি করে, যারা বলে ও তো লিখতে জানে না, তাড়া কবিতা অর্থ খোঁজে না, অর্থ (টাকা) দিয়ে কবিতা খোঁজে। তাই কত না-কবি, কবিতার মধ্যেই না-কবিতা লিখে পুরস্কার পায়, আর আমি তুমি হারিয়ে যাই। কবিতা কাল-যুগ মানে। তাই কাল উত্তীর্ণ করে ফিরে আসবে আমার লেখা। এটাই বিশ্বাস। এটাই চেতনা। এটাই ভাবনা।