কবিতায় নগর জীবন আসে, কবিতায় অত্যাচার আসে, কবিতায় আদিমতা আসে। কবিতার গলিপথ ভীষণ অন্যরকম। তবে সমাজ তো উত্তরণ চায়। সমাজ তো ভালবাসতে চায়। তাই কবিতায় সমাজের বাজারদর এসে যায়। কবিতা তাই ভালো খারাপে ভরেছে। মজার হল সকলে কবিতা বোঝে না। কিন্তু শখে কবিতা লেখেন। লিখুক। ভালো কথা। সেগুলো জনসমক্ষে আসুক কিন্তু কবিতার ইতিহাস, কবিতার পথ তো অন্যযুগের কথা বলে। ভালোলাগা, না লাগা পেরিয়েও একটা শিক্ষা কবিতার জন্য দরকার। সকলের সেই কবিতার ইচ্ছা নেই। সকলের সেই কবিতার ভাবনাও নেই। চলতে থাকে সমাজ।
পাঠক তো অলীক সুখে বাঁচতে চায়। সে তো নোংরা সমাজ দেখতে চায় না। কিন্তু সমাজে তো মৃত্যু উপত্যকাই অনেকটা বড়ো পাহাড়। অভাগীর স্বর্গ আজ লেখা হলে যৌন শব্দ নিশ্চয়ই আসত। আবহাওয়ার পারিপার্শ্বিকতা সেটা করছে। মজা হচ্ছে আমরা সে সব বুঝি না। একটা ইউটোপিয়ায় সাহিত্যকে রাখি। পাঠ্য পুস্তকেও তার প্রতিফলন নেই। আর কবিতাও তাই নির্দিষ্ট সীমায় আটকে গেছে। আবদার, চাহিদা, প্রেম, রম্য সবই কবিতায় থাকবে। তবে আমি তো মৃত শবের শহরকেই ভালোবাসি। কারণ জীবন তো শুধু হাসতে শেখায় না, কান্নার সময়টা অনেক বেশি বড়। খুঁজে পাওয়া আলোর পথে সে ভীষণ একা।
কবিতা আজ কতটা একা সে তার পাঠক ছাড়া কেউ বোঝে না। বোঝে না, না পাওয়ার আলোড়ন, খুঁজে পায় না অভিজ্ঞ চেতনার অণুপ্রাস। চলতে থাকে জীবন। বলতে থাকে কবিতা। তাই কলম নিয়ে মন রক্ষার মতো ভালবাসার আস্তরণে উঠে আসি ক্যানভাসে। তুমি তো শান্তি চাও...তাই রবি ঠাকুরকে আপন করে নাও। দর্শনটা বুঝি। যা কিছু ভালো...তবু তো অনেকটা বেশি কালো...অনেকটা কাম আমাদের ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে...রোজ। ভালবাসার মাঝে সেই কথারাই অণুরণন। আর তাই তো জীবনটাকে কবিতা ভেবে তাতে বেঁচে আছি। থাকব। কথা দিলাম পাগলি, ভালবাসার লেখায় তোমাকেও বাঁচিয়ে রাখব।