পুকুরের জল ধীরে ধীরে কমে আসে।
আবর্জনা আর সিমেন্ট বালির অবশিষ্টাংশ
গ্রাস করে নেয় পূর্ণিমা চাঁদকে।
গ্রহণ নেমে আসে।


ওদিকে চিৎকার ওঠে
অন্য পুকুরও এমন করে
বুজিয়েছিল বিরোধীরা।


সাম্রাজ্যবাদের সূক্ষ্ম গদি আলেখ্যে
এসমস্ত পুকুরের কথা
কেউ লিখবে না।


শুধু এ কাদা ছুড়ে দেবে
অন্যের গায়ে।


পুকুরের উপর বহুতল হবে।


আবার বছর কুড়ি পর বিরোধীপক্ষ
অনৈতিক, অন্যায্য বলে
চিৎকার করবে মানুষকক্ষে।


চাকার মতো দুর্নীতি চলতেই থাকবে।
মরবে কেবল বাস্তুতন্ত্র।
মরবে মাছ, জলজ প্রাণী।
মরবে মানুষ।


বেঁচে থাকবে রাজনীতি, কূটনীতি।
ঈশ্বর হবে কংস, ঈশ্বর হবে নারায়ণ।


ধর্ম নয়, সময় ধার্মিক হতে চায়।
মাছের জীবন, মানুষের জীবন
গন্ধ শুকতে বাধ্য হয়,
কবরের, বৈদ্যুতিন চুল্লির।


ছাই উড়ে যায় আকাশে,
শরীর মিটে যায় মাটিতে।


এক জাল স্বপ্ন শেষ হয় ইতিহাসে।
ইতিহাস পাঠক আবার মানুষ জন্ম চায়
দুর্নীতির মেঘ ভরা চৈত্র আকাশে।
প্রেম করবে বলে
অনৈতিকতার সাথে।