শৈশবের ভাল লাগায় তাকে প্রথম দেখা ;
এক নিমেষেই সে যে আমার মনের আঙিনায় স্বযত্নে রাখা -
কাঁচা মাটির প্রলেপ জড়ানো -
নাম না জানা গড়িয়ে ফেলা মূর্তি,
কেউ বা তা বুঝেছিল।


জলের বিন্দু বিন্দু ফোঁটায় মাটি যখন নিছ্ছিল তার আকার,
শৈশবও ঠিক পাড়ি দিল কৈশোরের দ্বারে ;
নতুন মাটির গন্ধে -
কারিগর যখন উন্মুক্ত করছে তার শিল্পের ছটা -
কিশোরের মন ডানা মেলে উড়তে চাইছে তারই সাথে,
বাঁধ না মানা নতুন দিগন্তে সৃষ্টি করতে চাইছে -
নতুন এক ইতিহাস।
শীতল বাতাসে, ভোরের প্রথম নিঃশ্বাসে -
চোখ মেলে দেখতে চাইছে -
অর্ধসজ্জিত তার সেই প্রথম দেহের আকার,
যাতে এখনও বাকি যৌবনের রঙ,
বাকি দুটি প্রাণের মিলন বেলার সাজ,
বাকি এখনও দীর্ঘ অপেক্ষারত আঁখি দুটির অসম্পাত তুলির টান,
যার রঙ লাগায় প্রথম দেখায় -
প্রথম দোলা লাগায় হৃৎপিণ্ডের তারে ;


কাঁচা মাটি কখন ধারণ করেছে তার পূর্ণ রূপ -
কৈশোর পৌঁছে যায় যৌবনে,
কিছুই থাকে না আর মনে।
শুধু রয়ে যায় তার পূর্ণ সাজ,
প্রথম দেখা তাকে -
মাটির আকার ছেড়ে আবরণে সজ্জিত হয় সে ;
লজ্জা মেশানো আঁচলে ঢাকা শাড়ির ভাঁজে -
মুখমণ্ডল বিস্তৃত হয়,
প্রণাম জানায় দিনের প্রথম আলো ;
স্পর্শ পায় প্রকৃতি তারই আগমনে,
প্রথম জীবনের না ভোলা প্রথম ভালবাসায় -
সে যে থেকে যায় আজীবন।