কাশ বন দোলে ওঠে
বাতাস দোলে ওঠা সাদা শরতে,
দোলে মন যেন কোন অজানা ভয়েতে,
দোলে নাও, পাতার খেয়া - ঢেউয়ের দোলাতে
আমি যে অবুঝ কাগজের নাও; ভাসি বলো না বুঝে; কার দোলায়?

নদী নারী, নারীর নদী, কিংবা নিরবধি আমায়; ভাবো যদি
মনের অগতি গতি পেলে,
দুলবে তুমিও জানি, দোলাবে।
দোলাতে দোলাতে, মধ্যাহ্ন রাতে
দোলাবে আরশ, অশ্রুশয্যা পেতে।

কেন মাধবী মৌভাণ্ডার আজও হয়না উজাড়?
কেন নেই কোনও শুন্য পুরুষ, সিদ্ধ শ্রাদ্ধতে
কিছুই নেই যার দেবার নেবারচ ভিন্ন ধরণ,
এ যেন নয় এমন, অতীত বর্তমান গরণ
দিতে দিতে যার সব ফুরিয়েছে...

দুলছে মেঘ ছুঁয়ে আকাশ সীমান্ত,
তোমার হাত ছুঁয়ে বন্দুকের ট্রিগার।
দে দোল! দে দোল, এ দল ও দলে,
দোল দিয়ে ডাল গুলো সব শাখে তোলে
মাড়াই করছে শীষ; কোন অকালে?

বারুদ গন্ধা প্রেম!
মোম জ্বেলে কে কবে পেরেছে দিতে শুদ্ধি?
আরও একবার গির্জায় ঘন্টা বেজে উঠুক!
আরও  কয়েকবার ধ্বনিত হউক মসজিদে আজান,
বার কয়েক পুরোহিত পাতা উল্টাক; পড়ে বাইবেলের পাতা
ঢেকে যাক টুপির পরে টুপিতে সব মাথা,
ভেবে তারপর না হয় দোলা যাক।

কেবলি দুলে দুলে
এ দল ও দলে
সব দোলনায় আজ দুলছে সর্বনাশ!