তোমাকে আর নষ্ট হতে দেবো না!
তোমার হাতের আঙুল ছুঁয়ে থাকবো,
সিগারেট, গাজার কল্কি, ইয়াবার পুরিয়াসহ অনাবশ্যক যত আঙুলের ফোকর গলিয়ে পড়ে যেতে দেবো; তা-ও ভালো
তবু তোমার হাতে নেশাকর কিছু আর ওঠতে দেবো না!


মদের গেলাসের প্রান্তিকে; চুমু দেবো ল্যাপে
তুমি তাই গেলাসে চুমুক দিতেই
খিলখিলিয়ে ওঠবে; ছন্দে তরল হাসি।
আর তুমি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে ভুলে যাবে,
                  মাদকরসের পিরিতি।


পাড়ার মেয়েদের ঘাগড়া শাড়ি তুলে
দেখতে দেবো না গোপন সন্দ্বীপ।
আমার সাথে গল্প বলে পার করে দেয়া সময়কে মনে হবে-
চব্বিশ ঘন্টা সমান এক পলকই সঠিক।


প্রতিহিংসা আর জিঘাংসায় উদ্যোত উদ্ধত তোমাকে
নিবৃত্ত হতে বলে,
নিয়ে যাবো মৃতদের শশ্মান কিম্বা গোরস্থানে।
তুমি বুঝে যাবে এ জায়গাগুলোর কী মানে!
আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে ক্ষমা করে দিতে শিখবে তখন সেইসব অপরাধীদের, যারা একদিন ছিল তোমার জিঘাংসার কারণ।
জানবে, তোমার হত্যায় ওদের যতটা না যন্ত্রণা হতো,      
      তার চেয়েও অধিক যন্ত্রণা পেয়ে ওদের মৃত্যু ঘটেছে। আরো বাড়তি যন্ত্রণা পেতে; তাদের অপেক্ষমান তালিকায় রেখো। স্রষ্টার বিচার অতি সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম!


তোমাকে লুটেরা চোর আর ডাকাত হতে বাধা দেবো আমি। বলবো, এমনও নারী আজো সত্যিই আছে; যারা কী-না অল্পতেই হয় সন্তুষ্ট।


তুমি শুধু চোখ মেলে খুঁজে নাও তাদের। এদের কেও হয়তো বিকলাংগ মানসিক প্রতিবন্ধী অম্লদগ্ধ, কেউবা জোরপূর্বক কারো দ্বারা ধর্ষণের শিকার।


বেশ্যা পাড়াতেও কেউ কেউ জায়নামাজ বিছিয়ে আরাধনায় রত থাকে; তা জানোনি হয়তো?
সে আরাধনার আরাধ্য; স্রষ্টাই শুধু নন,
তার সাথে সে আরাধনার একক প্রেমিক তুমিই হয়তো!


শুধু দেখার চোখটাকে বদলে ফেলা প্রয়োজন,
তাহলেই আর নষ্ট হবে না কেউ কখনো।
আমরা সবাই হবো তখন-; আলোকিত মানুষে গড়া
অভিন্ন এক পৃথিবী।