আঙুলের ডগায় মেঘ বয়ে নিয়ে
আর কত রবে অকৃতদার?
দ্রাক্ষা রসে যে; কী সুধা আছে,
জানে-না তা যদিও; কুমার অমীয়!
জানে জুঁই, কাঠাল-চাঁপা,
বাগানের রানী- কামিনী।
আপন মহুয়া সুধার রহস্য
যেমনটি সে জেনেছে,
তাড়িয়ে তাড়িয়ে খেলে খেলে মজা নিয়েছে।


দূর থেকে দেখে, চোখে চোখ রেখে
জানা হয় জীবনের যেরুপ অন্য মানে,
বিশদ রহস্য মিলে-না তা বাস্তবতায়,
              পরখ বিনে।


নিজের ইচ্ছেতে এই বেড়ী পড়ার মাঝে
কি যে ছন্দ যাদু আছে!
জানবেনা  কেউ - না নাচালে,
না নেচে কভু – নৃত্য যুগলে।


বাঁধনে আনন্দ এই
জানা যায় নিয়তই
কি এমন রহস্য আছে-
         পালকের নীচে,
             প্রতি রোমে, রোম-কূপে।


সংসার নয় সে তো, পায়ে বেড়ী পরার মত
কোন শৃংখলের  নাম,
জীবনে না জড়িয়ে কারও কাম আর ঘাম;
ভয়, দ্বিধা, অভিমাণ - সন্দেহ, জড়া,
অন্তর জুড়ে কেন এহেন ক্ষরা?
জড়ো কেন করো সব; বরফ-পাহাড়ে?