"আমি তোমায় ঘৃণা করি" যদি বলতে পারতেম!
তোমার ঠোঁটের খুব কাছে নিয়ে ঠোঁট
নিঃশ্বাসের খুব কাছে নিয়ে নিঃশ্বাস
তোমার উদ্যত চুম্বণ
যদি ফিরিয়ে দিতেম চরম ঔদ্ধত্যে,
আঙ্গুল থেকে নোখ; প্রতিটি লোম এর শীর্ষ চোখ
ছুঁয়ে দিতো যদি সুখ-
চুম্বনে, লেহণে;
তর্জনী মধ্যমার গুটি গুটি পায়
বুকের গালিচা মাড়িয়ে চিবুক,
নেমে আসা স্পর্শ-উষ্ণতা হাতের ত্বক থেকে ললাট
সহবাসি মধ্যমা, তর্জনী আর অন্য সব অঙ্গুলি খেলায়
ঠোঁট দলে, ডলে, এসে থেমে যেত নোখ, নাকের ডগায়;
বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে সেখানে
আবেশ বিভোর তোমার দু'চোখ কী দেখতো আমায়?
না কী শুধুই দেখতো তাকে?
এক আলোর রাত্রীতে যে নারী ডুবিয়ে দিয়েছিলো তোমায় অন্ধকার তিমিরে,
তারপর থেকে যত নারী আসে, ভালোবাসে
সবার কাছ থেকেই তোমার আশা, সর্বনাশা!
দুলিয়ে আকাশ খসাবে তারা রাতের ছলনা,
ভালবাসার হার মানা হবে বুঝি শেষতক, শুধুই কামনার কাছে?
তবু তুমি আজও, ওই চোখেই চেয়ে আছো
ভোর হতে না হতে যে চোখের ঘোর কেটে গেছে, দিব্যি কনের সাজে-
গহনায়, শাড়িতে, মেহেদী, আতরে আহ্লাদী সেজে
নাকের ডগার মত ঈষৎ উন্নত অগ্রে জাগিয়ে বৈশাখ
ডুবিয়ে দিতে পারতেম যদি তোমায়; অনন্ত বর্ষায়,
খাচ্ছি খাবি ডুব সাতারে একা আমিই যদি হতেম তোমার পাড়ের তরাণী,
দেখতে না আর রমণীয় কোনও নারীর বাহুলতা আশ পাশ
সাষ্ঠাংগ জড়ানো মিহি এক রাশ
চুলের সুতায় জড়ানো তুমি,
প্রানপণে বাঁচতে চাইছো; পারছো না!
চুলের জট ছাড়িয়ে দেখতে চাইছো শুধুই আমার-ই মুখ, এই দু'চোখ
তোমার চোখে চোখ রাখা মুগ্ধতার শেষ দিগন্তে পৌঁছে যেতে চাইছো
তুমি দেহাতীত মিলনে, আহা সুখ! কী যে সুখ!
কিন্তু ...
সরে যাচ্ছে চুল, শিথীল বাহুলতা
আঙুলও ছাড়িয়ে নিয়েছে তোমার আঙ্গুলের বাঁধন,
এতক্ষন বাঁচতে চেয়ে আমার করতল স্পর্শ করা তোমার করতল চূড়োয় ছড়ানো আঙুলগুলো
আঁকড়ে ছিলো খাপে খাপ আমার আঙ্গুলের ঘেরে,
এখন তা আর নেই !
আর কোনও রমণীয় ভালোবাসা নেই যা বাঁচাতে পারে তোমায়,
এখন তুমি মৃত্যু শয্যায়।
এমন ক্রান্তি লগ্ণে তোমায় যদি চরম অসহায় দেখতে পেতেম!
খুব ভালো থাকতেম আমি, খুউব ভালো থাকতেম।