লিখে যাবো...
খুনসুটিতে যাবোনা।
তর্কে ব্যস্ত থাকে রোজ বারোয়ানীর রাজহাঁস,
পুকুর পার ঘেষে মঈন মামার ঘর-অভিমূখী
রাজহাঁসেরা কেউ; জোড়ায় জোড়ায় হাঁটেনা,
কে যে কার দম্পতি? তা ঠিক বুঝা যায়না!
আমিও অনেক কিছুই বুঝিনা! তাই তর্কে যাবোনা।


মন্তব্যের তীক্ষ্ণ আঁচড়ে ক্ষত-বিক্ষত নাজুক অস্তিত্ব!
রক্তাক্ত ইজেল ক্লেদে।
কারও কারও লেখার শব্দ-কাঠিন্য এত জোরালো!
উপেক্ষা অবহেলার সুর আর সমালোচনার ঝড়ে
আমি মর্মাহত! বিধ্বস্ত !


ঝগড়াটে চড়ূই তো নই! নই মাংশ খুবলে খেতে আসা
চিল, শকুনি, বাজপাখি।
তারচেয়ে বরং একাই থাকি, না হয় দূরে...দূরেই থাকি; একলা পাখি!


অনেকদিন...অনেক প্রহর...
নিকটতম দূরত্ব থেকে আরো অনেকটা দূর-
চলে গিয়ে তারপর...
ধাতস্থ করে নেবো না হয়- উতল মন।


বাড়ির দেয়াল ঘেষা রাস্তার ও'পাশ থেকে;
আবছায়া হলুদ জানলাটিকে আর দেখা যায়না।
দেখেও বুঝার উপায় নেই; জানলার পর্দাটির ত্রুটি।
তোমার কাছে মনে হতে পারে- পিতসবুজ; কালো, ধূসর
এদের যে কোন রংগের একটি।
মাঝে মাঝে ভুল করে ভেবে নিতে পারো হয়ত;
এর নীলচে রঙকে সাদা,
কিম্বা তোমার প্রিয় রঙ্গের একটি; সেই আকাশি!


আচ্ছা কী ছিলো তার গায়ের বরণ?
তোমার কি মনে আছে তা'কে?
সেই কবে, কত বছর আগে!
শেষ দেখাটিও খুব ভালো করে দেখা হয়ে ওঠেনি তখন,
অথচ মানসপটে তার ছবিটি কেমন; অবিকল আঁকা।
বিছানায় তোমার বালিশটির ঠিক পাশেই; তার শোবার বালিশ,
রোজ নিজ হাতেই পেতে দেয় যে রঙ্গিন চাদর,
সপ্তাহন্তে বদলে দেয় সে-ই দুটোই।


রাতে বাতাসের সাথে ভেসে আসা যে চন্দনের ঘ্রাণ পাও,
আর তার চুলে মাখা; যে আমলা তেলের সুবাস!
যাকে তুমি এতদিন ভেবে এসেছো মতিভ্রম নিজের,
আসলে এ সবই সেই সুবাসিনীর...
অস্পষ্ট ছায়া ছায়া যে- ঘরময় হাঁটে,
জানলার ফাটল দিয়ে; বাতাসী হয়ে সে ভাসে,
ভেসে যায়... অন্য কোথাও আড়াল খুঁজবার আশায়,
আবার নিজ ঘরে ফিরে আসে,
তোমার বুকের ঠিক ডানপাশটা ঘেষে শুতে।