হে অসাধারণ! আমি এখন খুব সাধারণ
খোলা আকাশের নীচে ভাসমান জনারণ্যে।


আকাশ-মঞ্চ আর অশেষ অহমিকার জৌলুস ছাপিয়ে
নগ্ন নিরহংকার পা'য়, অনাবাদি বন্ধুর অনুর্বর পথ হেঁটে
চলে গেছি ফসলী আবাদ করা জমিতে, জীবন যেখানে
স্পন্দিত অগনিত নক্ষত্র ফুটে থাকা; নয়ন-তারাদের কাছে।


আমার হাত আর তোমার হাতের স্পর্শ খোঁজে না,
চোখ আর অপেক্ষায় থাকেনা কোন লালিত্যের।
এ তোমারই ব্যর্থতা! তোমারই স্বার্থ খোঁজা মনের
পাথুরে আঘাতে; জর্জরিত কোমল, তোমার কাছেই
প্রশ্বাসের আশ্বাস পেতে খুব কাছে ভীড়ে, কান্নায় ভেংগে পড়ে
নতজানু দু'হাঁটু পেরেক গেঁথে নিয়েছে।


তুমি তা'কে দু'বাহু জড়িয়ে ঠাঁই দাওনি তোমার বুকে।
কাঁদতে কাঁদতে তার খোলা চুল, আশ্বাসহীন অবিশ্বস্ততা পেয়ে
আঁকড়ে ধরেছে নরম মাটির অবলম্বনকে।


তার বিন্দু বিন্দু নোনা জলের মূল্য বুঝেছে সে, যার বেড়ে ওঠা তিক্ত জলের জঠরে। ওরা বেঁচে থাকে নাক উজিয়ে; বিশ্বাসী শ্বাসমূলে মাথা ঠেকিয়ে। আনন্দ নুপুর বাজে তাদের হাসির দমকে। আমি ভুলে যাই কান্নাময় সেই দিন, সেই অপেক্ষার ক্লান্তিকর রাত। দিন রাত্রির উপেক্ষার জখম।
আর তোমার ভালোবাসা দেয়ার মিথ্যে কসম।


আমি বার বার আঁকড়ে ধরি মাটি,
বিষাদ ছাপিয়ে খিলখিল শিশুর মত হেসে উঠি!
আমার হাতের স্পর্শ, চোখের বিশ্বাস
সবটুকু দিয়ে যাক খুঁটি,
ছিন্নমূলে জীবনের প্রতিশ্রুতি।