অর্ণবগামীরা,শোন!


যত শূন্যতা,তত গভীরতা
গভীরতা যত,রঙ এর গাঢ়ত্ব তত!
অন্তর ছোঁয়া মমত্ব বাড়ায়;সে মহত্ব!


যে যত শুন্য,সে তত পূর্ণ
জাগতিক শূন্যতা দেয়
প্রজ্ঞা র পূর্ণতা


শূন্যতা পূরণের আহাজারিতে যারা আসে,
তাদের কেউ প্রার্থী,কেউ স্বার্থপর
দাতার ভান করে;আসে নিতে,
আরো শূন্য করে যেতে!


ওদের পূর্ণ করতে চেয়ে;পূর্ণতা পাবে তুমিও,
তবে তা প্রাপ্তিতে নয়
কানায় কানায় ভরে যেতে রিক্ততায়,
কে অতটা শূন্যতা বইতে জানে,বলো?
যে জানে;সে-ই জোতির্ময়


দীর্ঘশ্বাসের নদী পথে;বৈঠাবিহীন তরী তুমি
বয়ে যেতে পারো;একাকার স্রোতে একা,
সে স্রোতের ভাষা;চলনের গতি জানা যা'র
তিঁনিই অভয়,অনন্ত উজান
নেই তাঁর কোন ভাটা


অন্তরের অন্তঃস্থ খবর বুঝেন যে অন্তর্যামী
এর বেশি কা-কে আর বুঝানো প্রয়োজন?
বাকি যা থাকে;তার সবটুকুই জৈবিক মূলধন


ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধতা সওয়া;এমন সহনশীলতা
তুলনীয় সেই বসুমতির সাথে,
ফুলে ফসলে;সৃষ্টির আনন্দে
দিয়ে যেতে যে জানে,অনিমেষে
যত টুকুনওবা পায়;সে-ও বিলিয়ে দিতে
অন্যের উপকারে,জন-কল্যাণে


এর পর আর কোন শূন্যতা অনুভূত হবে না,
হাহাকার র'বে না!
দীর্ঘশ্বাস এসে থমকে যাবে;ঘনীভূত হতে মেঘে,
হাহাকার সব মিশে যাবে;মৃদুলা বাতাসের সাথে,
অশ্রু বিন্দুরা ভুলে যাবে;দুঃখধারা বইয়ে দিতে,
তখন কে চাইবে আর বাড়তি কষ্ট দিতে?
সে যেন আসে!
নিশ্চিত ফিরে যেতে হবে তাকে-
বুমেরাং কষ্টের উপঢৌকণ হাতে,
পরে র'বে জাগতিক মোহের খোলস
তোমাকে অন্য সবার থেকে;পৃথক করে দিতে