বাঁশিটা এখনো বাজছে- - -
টি,এস,সির ওই কোনায় দাঁড়িয়ে সে'দিন
কেন বাজিয়েছিলে অমন পাগল করা সুর?
আজো জানা হলো না!


কেনইবা ওভাবে আমাকে দেখতে?
আবার মোটর বাইকে চড়ে; ঘুরে বেড়াতে
নিত্য নতুন সুন্দরী তরুণীকে সাথে করে
                      
শুনেছিলাম, এ দেশেও এসেছিলে।
ছিলেও অনেক কটা বছর!
নেশার ঘোরে না কি রাস্তায় পরে থাকতে
আচ্ছা, নেশা করার মত কোন কষ্ট তো তোমাকে দিইনি
আমাদের কখনো কথাই তো হয়নি।


তুমি উড়তে সদা সর্বদা ফূর্তিতে!
তবুও নেশার সাথে জড়িয়ে
আমাকেই কেন? - - -
আজো প্রশ্ন জাগে,
কেন এভাবে হন্যে হয়ে খুঁজতে?
প্রতিদিন একবার হলেও
আমাকে দেখতে;
কার্জন হলে "ঢুঁ " মেরে যেতে।


সেই একদিনই!
টি,এস,সি'র ক্যাফেটেরিয়ায় ঘটে যাওয়া
দুপুরে খাওয়ার সেই স্মৃতি তবু আজো জেগে আছে।
খাওয়া শেষে বাড়িয়ে দেয়া লাল প্লাষ্টিকের গেলাস হাতে
দৌড়ে এসে, আমাকে খুব অবাক করে দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছিলে সেই গ্লাসে ভরা পানি,
পানি আমি পান করেছিলাম ঠিকই
অচেনা আবেগে, থরোথরো হাত কেপে।
একদিন সেই স্মৃতি মনে এসে বাধাই করে তার নাম দিলো- "পানি গ্রহন", পরক্ষনেই মন থেকে হুশ! বলে তাকে তাড়িয়ে দিয়ে বলি- অযথাই! না জানি কত মেয়ের সাথেই!- - -


আমার চোখে চোখ রেখে; গাওয়া তোমার সেই গান-
হ্যা, সে প্রতিযোগিতায় তুমি ঝড়ের বেগে এসে মঞ্চ মাতালে, আধুনিক গান গেয়ে সে'বার প্রথম হয়েছিলে।
অডিটোরিয়াম ভরা এত মেয়ে থাকতে
কেন আমার চোখে চোখ রেখে, সেই অমর গান তুমি গেয়েছিলে, বলবে?


তোমার গান অনেকের মত আমি আজো শুনি।
কেও একজন বলেছিল, তুমি না-কী আমাকে ডাকতে
"সরলতার প্রতিমা"
আমি বুঝি তোমার চোখে তা-ই ছিলেম?
তোমার চোখ বলেছিলো হয়তো, তাকিয়ে তো দেখিনি!
ক্যাসেটের উপর এলবাম নাম দেখে চমকে উঠেছিলেম!


তোমার সাথে চুল এলো রাখা সেই সুদর্শনা মেয়েটি
তোমার বধূ হয়ে ঘরে আসেনি। অথচ গোটা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন তোমার সাথে ঘুরে বেরিয়েছে মোটর বাইকে। অথচ আমি তোমার সেই বাড়িয়ে দেয়া এক গেলাস পানির ঋণে,
আমার চোখে চেয়ে গাওয়া তোমার সেই গান শুনে,
"----- কবিতায় পড়া সেই- ----" এর মত আছি, আর
                                     তোমাকে, আজো ভুলিনি!                            


এর পর আরেকবার একা গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেম
টি,এস,সি'র ওই দী----র্ঘ করিডোরে।
তোমার বাজানো সেই বাঁশির সুর অবিকল বেজে চলছিলো
মনে হচ্ছিলো, ওইতো! তুমি ওখানে- -
হাফ হাতা সাদা ডিসকো শার্টের হাতায় সাদা বোতাম
তার নীচে একটু "ভি" করে কাটা ভেদ করে তোমার হাতের পেশী সেদিন আবেগে কী অদ্ভূতভাবে কাঁপছিলো!
সেদিন তোমার সে আবেগ সত্য ছিলো বলেই
আজ এতটা  বছর পর ---- তোমাকে মনে পড়ে গেল!


আমার বিশুষ্ক ঠোট; শীতের জড়তা কাটিয়ে সেদিন
বিড়বিড় করে উচ্চারণ করেছিলো একটি শব্দ, " কৃষ্ণ"।