শিঘ্রই চোখ সরিয়ে নেব, খুব দ্রুত!
তোমার থেকে, তোমাদের থেকে।
তখন আবার এ চোখ; কারও দিকে তাকাবে না!
যেমন কিনা আগেও এড়িয়ে যেতে পারত,
কিলবিল পোকাদের মত; গিজগিজে মানুষ যত।


সহজেই সব মানুষ; ভিড়তে দিই না কাছে।
খুব সহজে মুগ্ধ হই-না, ভালবাসতে পারি না!
পিছু ফেরে না এই মন; যখন তখন, যেমন তেমনভাবে।
কিছু মানুষ দূরে দাঁড়িয়ে থেকে; ভাবে হয়ত!
‘মানুষটা কেন এমন? কী তার চাওয়ার ধরন?’


তাইত, কেন আমি এমন?
বিশুদ্ধ জল ছাড়া যার কিনা; পছন্দ না—
                          অন্য কোনো পানীয়,
একজন ছাড়া ভালোবাসা আসে না;
                           আর বহুজনে-ও!


অথচ দেখি; নির্বিকার তোমার দু'চোখ,
"ভালবাসি" বলে; ভালো-না-বেসেও।
দিব্যি তাকিয়ে থাকতে পারে-; সুযোগের অপেক্ষায়,
সুবিধা আদায়ের জাল ফেলে, লাভের হিসেব কষে;
ঠিকঠাকমত সব গুনে বুঝে নিয়ে যায়।


এত সহজেই ভালোবাসতে পারি না যদিও
কাওকে ভালো লাগলে; এ মনটাই হয়ে ওঠে আবার-
                                      সজল উতল বর্ষা!
শতধারায় বয়ে চলতে থাকে তখন তার দিকে...
বাধা মানে না,
উত্তর দক্ষিণ দিক মানে না, উদয় অস্ত বুঝে না।


সব দিকের গন্তব্যেই তখন সে, একজনই।
তুমি-; সদা সর্বদাই যেন থাক জ্বলজ্বলে!
আগুনের মত সরল দহনে পুড়িয়ে আমূল,
                                       পোড়ে-ও।
নিরন্তর পুড়তে থাকা মন; পোড়ায়-
                                  মায়ার অনলে।


গলিয়ে দিতে পারে যে এই; কঠিন ধাতব-মন,
যার প্রতি নিশ্বাসের রাজাম্লই শুধু প্রয়োজন,
সে কেন নেই কোথাও?!