বাহ বারে বাহ,সাইফুল মিয়া,
বড় বাবা হয়ে তুমি বড় কাজ করেছো,
পাঁচ বছরের যে শিশু,
ভালোবেসে তোমায় জেঠু ভেবেছে,
সেই শিশুর তুমি প্রেমিক বনেছ !
কি প্রেম, কি প্রেম ! প্রতিদিনের চিৎকারে পূজা আজ জানান দিচ্ছে তোমার মহৎ কর্মের !
কদিন আগে দেবী দূর্গা মিশেছে নদীতে,
সেই ঢাক বাদ্যের পুজায় সেদিন,
আমাদের আদরের পুতুল পূজা মায়ের হাসি উড়েছিলো জীবন সুখের প্রজাপতি হয়ে,
আজ কিনা সেই তাকেই ণারী ভেবে নিলো পুরুষ ?
কাগজে কাগজে খুব মাতামাতি,
কেও বলে হায় হায়,
আবার কেও বলে এটা শিশু ধর্ষণ নয়,
এটা, ধর্ম ধর্ষনের শামিল,
আর আমি দেখি মানবতার ধর্ষনের খন্ডচিত্র ।
আমার মুখ ভর্তি থুতু,
আমি কোথায় ছিটাই, কোথায়?
এই সাইফুলের মুখে,
না পঁচে যাওয়া সমাজের মুখে ?
আমার চোখে চোরা কষ্ট ঝরে
গলগল করে অস্রুপাত হয়ে,
হাত দিতে মুছতে গিয়ে দেখি লাল সমুদ্র স্রোত,
ঠিক যেমনটা আমার ছোট্র মা
"পূজার" শরীরটাকে ঝরতে হয়েছে
একজন শুধুমাত্র পুরুষাঙ্গধারীর
কামনার ছুরিতে ছোটা লাল রক্তস্রোত হয়ে !
আমার হাত কাঁপে, চোখ কাঁপে,
সমগ্র শরীর কাঁপে, কাঁপে প্রিয় ধরিত্রী,
শুধু কাঁপে না সেই মহারাজা মহাজনের আসন !
আমার নিজের একটা শিশু আছে
ঠিক পূজার মতোই ছোট্র ।
আমি কি নিজেকে হত্যা করে বেঁচে থাকবো ?
জীবিত-মৃত মানুষ পিতা আমি হতে চাই না,
চাই না ! চাই না !
আমাকে কেও প্রশ্ন করো না,
কেন আমি মৃত হবো !
যে জীবিত পিতা তার শিশুর
অঙ্গ ছেদন সইতে পারে,
সেই পিতা হওয়ার আগের,
আমার মৃত হোক, মৃত্যু হোক,এবং মৃত্যু হোক....
আমি এই ছোট্র পায়ের পূজার কাছে
মিনতি করছি,
বলে দে মা,
আমার মুখের থুতু গুলো আমি কোথায় ছুড়বো ?
তোর সেই পাশের বাড়ীর বড় বাবা
সাইফুলের মুখে ?
না আয়নায় নিজেকে দেখা এক ব্যার্থ
পিতার মুখে ?
নাকি এই পঁচে যাওয়া সমাজ
আর তার পতিদের মুখে ?
নাকি সেই মহারাজা
অধিপুরুষ মহাকায়ার প্রাসাদ স্তম্ভমূলে ?
                                 রচনাকাল :: ২৭/১০/২০১৬