খবরটা পৌছলো তড়িৎগতিতে,
ঠিক খানিকটা রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে
বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো l


গতকাল ছিল যুদ্ধজয়ের হাসি বস্তির প্রতিটি ঘরে,
প্রতিটি সহকর্মীর চোখে কৃতজ্ঞতার ভাষা l
নিজের ঘরে ফিরে
সে দেখেছিল স্ত্রীর শ্রদ্ধাবনত চোখে আনন্দাশ্রু,
সারা মুখে ছড়িয়ে ছিল তৃপ্তির হাসি l
বাচ্চা দুটোর ফ্যানভাতে বাঁচার দিন শেষ,
আবার স্কুলে যেতে পারবে ওরা l


গতকাল ছিল
সাফল্যকে ছুঁয়ে দেখবার দিন l
ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মতো,
যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছিল শ্রমিক বস্তির প্রতিটি ঘরে,
তাকে সংহত,একত্রিত করে,
আমরণ অনশনের প্রতিবাদী চেহারা দিয়েছিল সে l
মালিকপক্ষ বাধ্য হয়েছিল
সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর চরমপন্থা প্রত্যাহারে l
ঘরে ফিরে
তাঁর যুদ্ধবিধ্বস্ত অনশনক্লান্ত  শরীর খুঁজে নিয়েছিল বিছানার কোল l


আজ বড় ভ্যাপসা গুমোট,
শ্রমিক বস্তি আজ যেন বড্ড থমথমে,
নিস্তব্ধ, শুনশান !
সে এসে দাঁড়াল মিলের গেটে l
ভেতরে কাজ চলছে পুরোদস্তুর l
মিলের দরজা বন্ধ !
বাইরে এখনো লাগানো একটি সাসপেনশনের নোটিশ !
তাতে একটাই নাম
নীচে মালিকপক্ষের অনমনীয় হস্তাক্ষর !
সবাই আবার ফিরেছে কাজে,
শুধু সে ছাড়া l