তোমার আমার সেই খঞ্জনা গ্রামে,
অঞ্জনা নদী আপন প্রবাহে ধায়,
শুধু তাঁরে যদি ডাকি রঞ্জনা নামে,
প্রতিধ্বনিরা হাহাকারে ফিরে যায় !!!


মাঠের প্রান্তে বাবা মা মেয়ে মিলে,
ছোট্ট একটা অভাবের সংসার !
দৈন্য যাদের দিন প্রতিদিন গেলে,
ইস্কুলে আর যাওয়া হয় নি তাঁর !!!


নবান্নে সব ধানের গোলা ভরে...
ক্ষেত মজুরের মজুরিই কত আর...
রঞ্জনা তাই কাজ করে ঘরে ঘরে ,
তবুও তাঁদের ঘোচে না অর্ধাহার !!!


সবার যখন দীপাবলির আলো,
আঁধার ঘনায় তাঁদের উঠোন জুড়ে,
শারদীয়ার আনন্দ জমকালো....
তাঁদের কাটে যেমন তেমন করে !!!


জীবনের এক বিস্ময়কর বাঁকে,
শয্যাসঙ্গী মায়ের ক্যানসার !!!
আত্মঘাতী হলো বাপটা শোকে,
মাথায় নিয়ে বিপুল দেনার ভার !!!


শেষ সম্বল তাঁদের বসতটুকু,
গ্রাস করে নেয় পাওনাদারেরা এসে,
শুনেছিলাম,হাজার দশ কি পাঁচে,
শরীরটাও সে বিকিয়েছিল শেষে !!!


সবার ক্ষেতে যখন তিসি ধরে,
সবার ছাঁদে ওঠে যখন তারা,
রঞ্জনারা আর ফেরে না ঘরে,
ব্যর্থ ডাকে আর পাই না সাড়া !!!


রবীন্দ্রনাথ,তোমার এ পোড়া দেশে,
রঞ্জনা আজ বড়ই যে অসহায় !!!
রঞ্জনাদের কেই বা দাঁড়ায় পাশে,
কত রঞ্জনা আঁধারে হারিয়ে যায় !!!