অমরত্ব:


উৎসবের রাত ছেনালি মেয়েদের মতো করে, নেড়েচেড়ে দিয়ে চলে যায় আমার আস্তাবল।
আমার নির্বাক অশ্ব গুলি তখনো ,
দানাপানি ভক্ষণে প্রবল ব্যস্ত ।
ব্যস্ত বাহারী ল্যাজের দোলায় মাছিদের তাড়াতে । জরা ও ক্লান্তির যৌথ আক্রমণে কাহিল আমি । এসব ছবি তুলে রাখি ।
যত্ন করে এসব রাখি হৃদয়ে ।
অনটনে তো কাজেও আসতে পারে ।
জানি এসব স্বপ্ন একদিন ভেঙ্গে যাবে ।
আমার লিজ নেওয়া জলাশয় জুড়ে,
খেলে বেড়াবে , কলোনি বাজারের মৃত মাছ ।


ডেলিপ্যাসেঞ্জার:


গেদে লোকাল এখনো ঢোকেনি প্লাটফর্মে।
চার নম্বরে আমি দাঁড়িয়ে আছি।
কল্যাণী সীমান্ত স্পর্শ করে ।
হালকা ছোটাছুটি চায়ের ব্যস্ততা সব আছে ।
ওসব থাকেই ।
দুই কামরার মাঝে লাইনে,
পেচ্ছাব এর মৃদু গন্ধও আছে ।
এই সবকিছুই নিয়ে তুমি আমি থেকে যাচ্ছি ।
তুমি বিশ্বাস করো অথবা না করো ।
আমরা আলোচিত হচ্ছি সমস্ত দূরের ব্রম্ভন্ডে।


ইভিনিং ওয়াক:


আমাকে রেসপেক্ট করো না তুমি আর ।
তোমার পেটের উপর থেকে,
শাড়ির আচ্ছাদন সরিয়ে,
তিনখানা সলিড ভাঁজ দেখেছিলাম একদিন ।কিভাবে বোঝাবো বলো !
তোমার নিয়ে গোধূলি আলোয় রাস্তায় দাঁড়ালে ।
ফুচকাওয়ালার চোখে তারিফ ।
যা আমি দেখেছি আজ ,
কাল অনেকেই দেখবে ।
কিন্তু তুমি ঘিপচি মেরে ঘরে বসে থাকলে,
আমার জীবনে আর সন্ধ্যা হবে না ।


শিরোনামহীন:


কে বলেছে যন্ত্র লজ্জা পায় না ।
ব্যাথায় ভঙ্গুর হয় না পাথর ।
কালাশনিকভ রাইফেল সারা রাত ফুঁপিয়ে কাঁদে না অস্ত্রাগারে।
বেয়নেট লুকিয়ে বসে থাকে না পেটের ভিতর ।
এই সমস্ত ভুল ধারণা প্রশ্রয় পায় না আমার কাছে । আমার সমস্ত সত্যি লেখারা তাই শিরোনামহীন । আমার সমস্ত সত্যি লেখারা সব যুদ্ধ দেখেছে ।