প্রিয় বাবা-মা,
এ চিঠি ভিজবে জানি,চোখের জলে।
হয়তো অক্ষর গুলো,ঝাপসা দেখবে।
হয়তো আমার নাম,হয়ে যাবে লাশ।
সার্টিফিকেটে উঠবে,আমি মৃত।
মৃত্যু তো সেদিন ই হয়েছিলো।
যেদিন আমার গীটার কেদেছিলো বেসুরে।
ছেড়া তার,আর বাজেনি কোনও দিন।
গলার সুর চাপা পড়েছিলো,ভর-বেগের চাপে।
স্বপ্ন ঝলসে গেলো,অম্ল-ক্ষার বিক্রিয়ার তাপে।
আজ শুধু মাত্র আনুষ্ঠানিকতা।
সার্টিফিকেট এর।
-প্রিয়তমা,
হয়তো শুনে কাদবে,ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়।
হাত বুলাবে ধুলো পড়া চিঠি বা কবিতায়।
তুমি কি জানো??আমার মৃত্যুর কারন??
তোমার পদতলে পিষ্ট গোলাপ,আমার খুনী।
তোমার উপেক্ষার নীলাভ বিষ ও দায়ী।
আজ ময়নাতদন্তে,ডাক্তার তা বুঝতে পারেনি।
ওরা ভেবেছে গলায় অতিরিক্ত চাপ,আমার মৃত্যুর কারন।
বোকা গুলো শুধু,হৃদযন্ত্রের চাপ নিয়েই ব্যাস্ত।
সেখানে উপেক্ষার ক্ষতগুলো,ওরা দেখেনি।
-হে সমাজ,
যেদিন আমি খাওয়ার পর,না খেয়েছিলো মা।
সেদিন তুমি খোজ নাওনি,উকি দাও নি জানালায়।
বাবার তলি ক্ষয়ে যাওয়া জুতোটাও দেখোনি।
যেদিন প্রথম গাইলাম গীটারে,ঠিকই বাকা চোখে তাকিয়েছিলে।
অকৃতকার্য হওয়ার পর,ধিক জানাতে করোনি কার্পণ্য।
তখনই আমার মৃত্যু হয়েছিলো।
সেদিন যদি আজকের মতো বলতে,যোগাতে প্রেরণা।
হয়তো গল্প টা ভিন্ন হতে পারতো।
আত্মঘাতী চিরকুট লিখার ইচ্ছে,আমার কখনোই ছিলো না।