আমি বেদন এর অব্যর্থ নীল রেখাচিত্র দেখেছি অনুভবে ! সেখানে পড়ে আছে- মৃত পাখির ছড়ানো ছিটানো অসংখ্য ফেকাসে ডানা, সেখানে ভেসে আছে- পলকবিহীন ওলটপালট বহু চোখ জমে থাকা গুমট সমুদ্রের নিঃস্ব বুকে , সেখানটাকে মুড়িয়ে আছে- সময় অসময়ে বিভাজনে ব্যবহৃত অসংখ্য জং ধরা কন্টক ! এই আয়োজন হয় এভাবে অবলীলায় পালিত । এ তাদের কেড়ে নেয়ার ছল-ছুতায় সৃষ্ট পৃথিবী । তাই শুনে রাখো একটি ফেলে আসা কাহিনী....


যে কোন পাহাড়েরই ধ্বসে পড়া সেখানে নিশ্চিত ।
এভাবে বহু প্রতিনিয়ত সূর্য থেকে মুখ লুকাতে লুকাতে-
ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের আঁধার মায়ায় ।
তার উদ্দেশ হয়তো কোন মাসাকালি রাখে না
তাই এমন খবর বের হয় না- সেখানে খুন হয়েছে !
অতঃপর দুঃস্বপ্নে সেই জল পায় নোনায় স্পর্শকাতরতা-
নিঃশ্বাসের উষ্ণ ঘর্ষণে ঘূর্ণনের খেলায় ধ্বংস নেশা
ঢেউ পায় ক্রমাগত ফিরে আসার বিস্বাদময় শাস্তি ।


ভ্রান্তির বিবেচকগুলো শুধু হারিয়ে বেড়ায় অবশিষ্টের খোঁজে
অথচ ভুল কখনো বলেনি- আমায় আঁকড়ে ধরো বিশ্বাসে ।
কিন্তু এই যে খেলা- যা মানে না কোন মধ্যস্থতাকারী
ধোঁয়াশায় অভুক্ত আগ্রাসী তৃষ্ণা তাই ভ্রমে অবমাননায় লিপ্ত।


..............সময় সাজে একটি রং আছে- যা কখনো বদলায় না । আদিমতাচ্ছলে ক্রমাগত ধ্বংস করে যাওয়ার এক অমোঘ ওয়াদা আছে তার- ভূখণ্ড শেষ অবধি। শুধু এক জীবনে বহুরূপে দেখা যায় দুই ঢালের চলমান বৃক্ষগুলোকে । সময় অসময়ে তাদের ক্রমাগত রং বদলে যাওয়ার ক্ষমতাও বর্ণনাতীত । সেই দোষ হয়তো বৃক্ষদের নয় । তাদের দেহ খুঁড়ে সেখানে বাসা বেঁধে আছে বিবিধ রঙ ঢঙে সেজে একটি পাখি। যার কন্ঠ জুড়ে বসবাস জানা অজানা হাজারো সুরের- কখনো মধুরতায়, কখনো কর্কশে, কখনো এলোমেলোয় । আবার যে কোন ক্ষণে মরে গিয়েও বলতে চায়- আমি এখনো বেঁচে আছি । অতএব তুমি বৃক্ষ দাঁড়িয়ে থাকার ছন্দ পতনে এখনো নিয়মিত চিঠি পাবে !