যে আঁচল ঊড়িয়ে পৃথিবী তোমায় দেখেছে
এতে তো ঢুকে যেতে পারে হাজারো মায়ার পৃথিবী !
জানো সে আঁচল কী ? বলবো না, এ তোমাদের ধাঁধা !
সহজ করে দিতে পারি যদি তবে চাও-
যেখানে জন্মেরও আগে থাকো আদুরের উষ্ণ আলাপে
যার মালিক হতে হয় তাকে-
কষ্টেরও পিঞ্জিরায় বাসা বেঁধে সে হাসে !
পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয় এ কেমন নয়ন !
এবার বলো দেখি সে আঁচলের কথা ?
বলবো না, এ তোমাদের ধাঁধা !
আরও সহজ চাও ! ঠিক আছে তবে শোন বোকার দল-
যে ব্যথা কারো হয় না শুধু সেথা জন্ম নেয়
তার তরে কেউ নয় ভাগীদার- পৃথিবী পায় একটি উপহার ।
অচেনা জগতে যখন কেঁদে উঠে একটি ফুল তখনও
ব্যথার মুখ লুকিয়ে আদুরে বুক চেপে ধরে- ওরে কাঁদিস না !
বলো দেখি এ মহিমা কী ? বলবো না, এ তোমাদের ধাঁধা !
আরও সহজ করে দেবো ! ওরে হাঁদারাম, এ কেমন বোকা তোমরা !
শোন তবে আরও সহজ,
সে এক কুখ্যাত খুনি-
সকল নিজস্ব সৌন্দর্য গলা টিপে খুন করে সেই ফুলের তরে।
ফুল পাপড়ি মেলে- তাঁর বুকে জমে নিঃশ্বাস
সকল সুখের ফোয়ারা বুকে হজম কোরে লাস্য হাসিতে বলে- আমি ভালো ।
এভাবে সে বহু খুনের খুনি সেজে অবশেষে সেই ফুলের ঘ্রাণ খোঁজে
জমিয়ে রাখা সেই নিঃশ্বাস ফেলবে বোলে ।
কিন্তু কোথাও তো ঘ্রাণ নেই- সে ফুল নাকি বিক্রি হয়ে গেছে !
তখনও সেই আঁচল ঘাপটি মেরে থাকে সেই লালিত ফুলের সান্নিধ্য চেয়ে
তবুও কখনো চায় না তিলক সর্বনাশ
কেউও যদি চায় করতে- সে দেখায় ক্রুদ্ধ চক্ষু !
এভাবে কোন একসময় সেই ফুলকে মৃত্যু সত্যে ছেড়ে দেয়-
কিন্তু অদৃশ্য আঁচলকে উড়িয়ে দেয় সে ফুলের অসর্বনাশে !
বলো দেখি এ কোন আশ্চর্য ? চিনতে পারো কী ?
আর বলবো না- এ তোমাদের ধাঁধা !
চেয়ে দেখো আপনালয়ে
হয়তো পাবে কোন কোনাকানিতে !