রাত্রি আমাকে ঘুম দেয় নি। রাত বলে, তুমি ঘুমিও না, আমিও তোমার সঙ্গে জেগে থাকবো, রাতভর! ভরাট দৃষ্টিতে আমি তাকিয়ে থাকি সদ্য কৈশরে পাঁ দেয়া রাত্রির দিকে। রাত্রিরা ক্ষণজন্মা, পলকেই তারা তাদের পার করে দেয়। এক জীবনে বহু রাত্রি পার করেও যেন আমার হলো না তৃষ্ণা পূরণ, কত যৌবন- রাত্রি মেলে ধরেছিল আমাকে! রাত্রিদের যেন হারানো যায় না, কিন্তু মৃত্যু তাকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ! মানুষ বলে মৃত্যু নাকি রাত্রির মত, চোখ মরে গেলে মানুষ নাকি রাতের মত হয়ে যায়। কেউ তাকে আর দেখতে পায় না ।


তবে কী আমি মৃত ? রাত্রির সাথে আমার যে সখ্যতা তা কী তাই প্রমাণ করে! রাত্রিকে আমি চোখ মেলে দেখি, তবে কী আমার চোখ মরে গেছে ! জোনাকেরা উড়ে বেড়ায়, ঝিঁঝিঁ পোকারা জেগে ওঠে, ক্ষুদার্ত বাদুড়েরা ঘুরে বেড়ায়, ফুলেরা ঘ্রাণ ছড়ায়। পূর্ণিমা, অমাবস্যা সুখের নীড় গড়ে রাত্রির মাঝে । সৌন্দর্য্যের অপার্থিব সুখ যেন এই রাত্রিকে ঘিরে । মৃত চোখে যদি রাতকে দেখে ফেলা যায় তবে তাই হোক ।


সন্ধ্যার হলদে চোখে প্রেম হয়েছে গভীর
রাশভারী শিশিরের ছোঁয়ায় কোমল বৃক্ষরাজি
অসাড়তা ভেঙে হৃদয় খুলেছে আকাশ
সুপেয় বাতাস উড়িয়েছে মেঘ তেপান্তর
রাত তাকে নিয়ে দিব্যি আছে সে
তুমি কোন সে মিথ্যেবাদী হে !
আমি সুখ পাগল রাত্রিতে উড়বো
আমি ডুব দেবো তার মেঘ সমুদ্রে.....