মা বলে, খোকা যুদ্ধে যা, অস্ত্র ধর
খোকা বলে, আমি যদি না ফিরি মা?
মা অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে, আমি ভেবে নেবো তুই স্বাধীনতা
খোকা বলে, তোমার কথা মনে পড়লে?
মা খোকার মাথায় হাত ভুলিয়ে বলে, চিঠি লিখিস
খোকা বলে, চিঠি যদি না লিখতে পারি?
মা খোকার কপালে চুমো দিয়ে বলে,
ভেবে নিস, এই দেশ তোর মা
তোর প্রতিটি বুলেট তোর মায়ের অশ্রু ফোঁটা
ওদেরকে ছাড়িস না খোকা
মায়ের চোখে খোকা দেখে প্রজ্বলিত আগুন ।


খোকা যুদ্ধে যায়,
মা চেয়ে থাকে খোকার পদচিহ্নে
মা আঁচল পেতে থাকে
যে আঁচলে ছোট্ট খোকা ছটফট করতো
আজ সে যুদ্ধে গেলো
বাবার প্রতিশোধ নিতে
বোনের প্রতিশোধ নিতে
মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে ।


মায়ের চোখে ঘুম আসে না
সারারাত কেটে যায় এপোড় উপোড় করে
জায়নামাজ ভিজে অশ্রু জলে
জানালার ওপাশে চাঁদ জেগে থাকে
খোকা মনে মনে মায়ের কাছে চিঠি লিখে
মা তুমি কেমন আছো ?
তোমার খোকা ভাল আছে, তুমি একটুও ভেবো না
জানো মা ! তোমার খোকা আজ বড্ড সাহসী হয়েছে
তোমার যে খোকা রাতের আঁধারকে ভয় পেতো
সে এখন রাতের আঁধারেই শত্রুদের একে একে হারিয়ে দিচ্ছে!
বুলেটে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে শত্রুর বুক !


মা দাঁড়িয়ে থাকে পথ চেয়ে
খোকা বিজয় নিয়ে ফিরবে
মায়ের চোখের নিচে কালি জমে...


একদিন খবর আসে
লাল সবুজ পতাকা উড়ার
ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীনতার
তখনো খোকা আসে নি ফিরে...