শহরের ওলিগলিতে একটা সময় খুঁজতাম আমার ভালোলাগাকে,
সেটা কোনো তরুলতা নয়, সেটা সত্যিই আমার অনুভুতি।
সেটা সেটা নয় সেটা সে!
যে আজও উরাধুরাসম ভাবে বাড়িয়ে দেয় আমার হৃদপিণ্ডের কম্পন,
আসে শ্রদ্ধা, আসে প্রেম, আর আসে, বুকে তাকে না পাবার আকাশসম ভীতি।
নয় সে এখনকার কোনো জড় কিছু মাংসপিণ্ডের স্তুপ,
সে বিধাতার অমূল্য সময়ের কারিগরির ফল হবে হয়তো।
না হলে কেনো সে আমার কাছে এতো দৈব?
আর সে তাদেরই একজন যে জাতিকে মা বলে, বলে ললনা, বলে অঙ্গনা,
সে তাদেরই মত, যারা আদ্যপান্তই সুঃখ বিলাবে বলে সাথী হয় নিরন্তর,
যাকে দেখে চিরায়তই, পুরুষ নামের লাটাইটা সুতা টাঁনতো,
আজো টাঁনে, সেটাঁনে আজ বাদ পড়ছে শ্লীলতার সাঁনাই,
সে সাঁনাই এখন, মনেই শুধু বাঁজে অধিকতর লাটাইয়ের কাষ্ঠে।
অনেকেই এখনকার-দিনের হিংস্রতার চাঁদরে, সুতোয় যাচায় নিজের লাটাইয়ের ধারকে।
যে জাতি তোকে জন্ম দিয়েছে রে! তাকে ভালোবাস, ভালোবাসার মত।
কেনোই বা এমন ভাবিস, এমন হবিসের মত?
বুকের বামপাশ কি’তোর আকেজো প্রায়?
নাকি, পুরো দেহেই পঁচন?
যেজন্য তোর গন্ধ শুকতে আজি হায়নারাও নাচায়!
তাঁকা ওদিকে একটি বার তোর বিলুপ্তপ্রায় মায়ার দৃষ্টিতে, প্রেমমমতায়,
না ভাব তাঁকে আর, অশ্লীলতায় মাখানো হায়নাসম মন-কুলষতায়।
================
০৯/০৭/২০১৬
ধানমন্ডি,ঢাকা