পশ্চাতে কৃষকারু কুন্তল,
কৃষ্ণ মেঘেদের সহযাত্রী মুখমন্ডল;
অগ্রভাগ দাপটে চলছিল সামনের পথ।
সুন্দরীতম নয়নাদেহী, স্ফুলিংগে কর্ষিতঘাত
প্রতিঘাতে প্রতিভূ প্রপাত।
তোমার পদব্রজ-দৃশ্যপট অনিমিত স্বপ্নধার
যুবকের পকেটের হাভাতি ভবিতব্যতাতে আকাঙ্খা জমিয়ে
ভুল করোনি।


তুমি ভুল করোনি;
প্রতিবন্ধকতার প্রতিবিম্ভ সমাজের ফুটপাতে
দাম্ভিক বিভাষে; প্রতিবাদে চন্দনশ্রী মুখাবয় উম্মুক্ত রেখে,
মেঘশ্রী-স্নাত অবয়াবয়ে-
শৃঙ্গার করে রেখে গেছ বুভুক্ষা আশ্লেষে।
বৃষ্টি হবে কি না হবে, রোদ উঠবে কি না উঠবে
তার জন্য কোন খেয়াল না রেখে।
বরং, প্রকৃতির স্বভাবজাত প্রবৃত্তিতেই প্রকাশিত তুমি;
সৌন্দর্য মুখরিত হারিয়ে যাওয়া শান্তির সংসারে
অশান্তির তাপদাহে বিন্দু সিন্ধুকায় রোমাঞ্চতা।
যেন নিজহাতে, নিপূনে, নিগূঢ়ে, গুণে-পূণ্যে
পুরণ করেছে তোমারে, বিধাতা।
পাঠিয়েছে সংহারিতে; হরিতে আনন্দধারা।


হে পূরবী!
যেন সর্বাঙ্গভাগ, স্ব-বাগ সংজ্ঞা,
সংহার করে অসংখ্য প্রপঞ্চ, রোমাঞ্চ,
করে মন্থন, লোমহর্য কোড়ে, করে আকুঞ্চন।


তুমি যখন চলছিলে; একাকী
আমি সহযাত্রী পাশা-পাশি
পৃথিবী, প্রকৃতি আমার সাঙ্গ-সংগীত
হয়েছে মাধুরী মুখর।
উদ্ভাসিত সুপ্ত তৃপ্ত সন্তাপে
বিগলিত পাথরের শ্লেষ
চুঁয়ে পড়ে পুঁতে গেছে
মোহনীয় মহিমায়; সৃষ্টির কল্কাতে,
চুরি করে বার বার তোমার মুখ-রূপে
দৃষ্টি তীরধারে বিঁধেগেছে; যেন বেহাল;
যেন পরাস্থ পাখির পাখা,
সে তুমি অপরাধই বল না কেন;
অনানুমোতিতেই কল্পনারা রং ছড়ালো
অসীম সাহসে; সংগোপন সহবাসে।
তোমার প্রকাশিত বৃষ্টি স্নাত মেঘলা সকাল,
যেন মেঘগুলো ছুটল দল, বাতাসে দোলা কুন্তল;
কৃষকায়ায়; মায়ায়; অবিরাম; সুভ্র-সুধা।


দেখেছিলেম ঐ যুবকদের চক্ষুগোলক
অপলক আচমন তোমা কামনায়,
দেখেছিলেম কত পুরুষ কিংবা নারী
হঠাৎ ঠাহরিয়ে নিবন্ধিল দৃষ্টি ধ্যান,
তোমার সৌন্দর্য মহিয়ান।
যেন, অক্লান্ত তপ্তদাহের সূর্যিকে দেবে ছুটি অনায়সে।


তুমি ভুল করোনি;
কেড়ে কল্পনা, ছেড়ে আবেশ, ধরে সহজাত
ফিরে অসীম সহসা সংগ্রাম;
বিজিত হও; বিজিত হও; বিজিত হও
রূপংদেহী; জয়ংদেহী, লহ প্রণাম।।