(একটি সত্য কাহিনী অবলম্বনে)
এ যেন লিওনার্দ দা ভিঞ্চির ছবি,
নিঁখোদ ভাবে আঁকা,
ছোট একটি বাড়ী, পদ্ম পুকুর, সান বাঁধানো ঘাট
ঘরের বারান্দায়, বেলকুনীতে ফুলের সমাহার,
মৌমাছিদের আনাগোনা,পাখিদের কলতান।
সাথে পাঁচটি প্রাণী।


এই তো কস্টাদের সুখের নীলয়,
জীবন নদী ছুটে চলেছে, আপন ধারায়
ক্ষণিক সময়ে একটু-আধু ঢেউ
তার পর শুধু নীলিমায় নীল।
হঠাত
বাড়ীর পরিচারিকা কিশোরী পারু-
ফুলে ফেঁপে উঠে অচেনা সুখের ডাকে।
সঙ্গোপনে আগলে রাখে
নীরবে বেড়ে উঠা অনাকাংখিত সুখ!
গৃহকর্তার লোলুপ দৃষ্টি
পুড়ে যায় সব আশা-নিরাশার মন।
এক নিরাপত্তাহীন জীবনের কঠোর অত্যাচারে
নিক্ষিপ্ত হতে হয় তাকে বার বার।
অবশেষে শেষ আশ্রয় জোটে বাবার ভাঙ্গা কুঠিরে।


কস্টা, জানে না কি হলো?
জেনেও না জানার আদিম বাসনায়
আবার মেতে উঠে আদিম উন্মাদনায়!
দিন গড়িয়ে বছর, বছর গড়িয়ে যুগ,
একদিন প্রিয়তমা স্ত্রী অভিমানে দুঃখে চলে যায়
অন্য বাড়ীর ছাদের তলায়!
পড়ে থেকে কস্টার সুখ-স্বপ্ন ও দুই মেয়ে।


একদিন কস্টাও পাড়ি জমায় মার্কিন মুল্লুকে!
আবার বাঁধে ঘর, পথ চলে কেউ সাথি হয়ে;
কিশোরী দু'মেয়ে, একদিন যৌবনে পদার্পণ
হাসি উচ্ছ্বল জীবন, রঙ্গীন পাখা, উড়ে বেড়ায় অচিনপুরে।
শুধু পরিবর্তন হয়না কস্টার আদিম বাসনা!
একদিন ঘরনিও ছেড়ে যায়, লজ্জ্বা-অপমানে নিজ ভূমে
একা হয়ে পড়ে কস্টা, দুঃখকে সাথি করে।


মদ এব্ং নারী, চলে প্রতিদিন
বয়স বাড়ে, বাড়ে নিঃসঙ্গতা, হতাশায় বলি হয়ে
দিগ-বিদিক হয়ে পথ চলে,
এভাবে সুখও নেয় নির্বাসন!
অনুশোচনার আগুলে ঝলসে উঠে মন
পুড়ে যায় ঘর, সড়ে যায় সব।
দুঃখের দিনে সুখ বুঝি আর সইল না!


আবার স্মৃতিরোমন্থন-
অনাকাংখিত সুখটি কেমন আছে? কোথায় আছে?
ছুটে যায় সে নিজ ভূমে, হন্য হয়ে খুঁজে ফেরে অন্বেষা চোখ।
ময়মনসিংহের কোন এক অজ্ঞাত গাঁয়ে
ধরা দেয় সুখ,কৈশোরের যৌবনা নদ শুকিয়ে গেছে আজ
চেনার নেই উপায়!
আজ কত বড় হয়ে গেছে গোপনে বেড়ে উঠা ভ্রুণটি!


অনুশোচনার কাঁদে কস্টা
একজন এসে আঁচলে চোখ মুছিয়ে দেয়
একান্ত আপন করে! কস্টা শক্ত করে ধরে থাকে
ভালোবাসার আঁচল।


এভাবেই
অনুশোচনায় জলে ভয়ে যায় ভালোবাসার ছোট নদী।


সিলভার স্প্রিং, ম্যারিল্যান্ড
০৬/২৯/২০১৩