(সাভারের কমলাপুরে দুবৃর্ত্তদের আগুনে পুড়ে যায় এক খ্রিস্টান বাড়ী)


সদ্য পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘর, বই, বিছানা;
কাল ছিলো তা সাজানো এক বাড়ি
ঘরের তাকে সাজানো বর্ণমালার বই,
বাঁশের তৈরী তাকে সাজানো কাপড়,
দাদুর ভালবাসার হুক্কা,পুরনো চেয়ার
ঠাকুর মার পানের বাটি,
মায়ের হাতে আঁকা নকশী করা কাঁথা,
আর, ঠিক ঘরের মাঝে, ভাঙ্গা বেড়ায় টাঙ্গানো
মাতা মেরীর কোলে যীশুর মূর্তি।


আমার সাত বছরের ছেলেটি যাজক হবার প্রত্যাশায়
মাতা মেরীর পদতলে-
রোজারী মালা জপ করতো নিত্য সন্ধ্যে,
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখতাম,
ঈশ্বরের প্রতি তার অবাধ বিশ্বাস দেখে!
মাতা মেরীর পদতলে পুরনো একটি বাইবেল,
মা শোনাতেন, প্রভুর অমৃত বাণী।


আজ সন্ধ্যেটা ছিলো ভিন্ন রকমের,
প্রার্থনা শেষে কুকুরটা অকারণে বেসুরা কন্ঠে কাঁদ্ছিলো!
মনের ভিতর একটা আশংকা,
যেমন শংকা ছিলো একাত্তোরের
বিভিষীকাময় দিন গুলিতে!


তার পর!
একটি দেয়াশলাইয়ের কাঠি,
একটি মাত্র ঘষা, জ্ব্লে উঠে হিংসার আগুন!
পুড়ে দগ্ধ হয়, সাজানো সংসার,
বসত বাড়ি, নতুন দিনের স্বপ্ন।


সকালে এক মুঠু ভস্ম হাতে নিয়ে
কপালে এঁকে দেই ক্রুশের চিহ্ন,
আধপোড়া বাইবেলে স্পষ্ট একটি লাইন
'ক্ষমা কর, ভালোবাস।'


০৩/০২/২০১৪