(নারী দিবসের কবিতা)


মেয়েটির জন্ম ক্ষণে না উলু ধ্বনি, না আযান,
না গির্জার মিনারে ঘন্টা!
পৃথিবীর কোলাহল ভেদ করে নীরবে জন্ম নেয়
একটি কন্যা শিশু।
কালো বলে জগতের সভ্য আলো নেয় মুখ ফিরিয়ে,
পিতার হাস্যোজ্জ্বল মুখে-চোখে এব্ং
বলিরেখায় যোতুকের চিত্রপট ভেসে উঠে!
একি জন্ম? নাকি পাপ?


সমাজের একটি কোনে বেড়ে উঠে
একটি মেধাবী সোনালী রোদ।
শরীরের নানা রব্ং বদলানোর সাথে
বদলে যায় মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি,
কখনো ভাষায়, কখনো বা ঈঙ্গিতে
বহন করে অসুস্থ সমাজের, অসুস্থ বিবেকের
অসুরের লোলুপ্ত দাপট।


মেয়েটি আজ যৌবনের সিঁডির ধাপে,
কালোকে পাশ কাটে ডিগ্রিধারী সমাজ,
করুণার ভালোবাসা হয়ে আসে কেউ,
দশ ফুটের ফর্দ নিয়ে!
ফর্দের মূল্যের হিসাব জানে না
অসহায় পিতা, সচেতন সমাজ!


একগাদা সনদের মুল্য ছুটে চলে
এক মুঠু অন্যের সন্ধানে,
বিফলে প্রত্যাখাত হয় বারে বারে।
মানবাধিকার সংস্থা, সুশীল সমাজ, অফিস-আদালত,
সনদের প্রসংশায় গদ গদ করে,
তারা সনদের সাথে চায় গ্ল্যামার!


দেশের একটি নক্ষত্র মেঘের আডালে যায় হারিয়ে
অন্ধকার তাকে বুকে নেয় টেনে!
পরদিন খবরের কাগজে লিড নিউজ,
"ধষণ ও এক মেধাবীর আত্মহনন!'


মানবাধিকার সংস্থা, সুশীল সমাজের
মানবিক উচ্চারণ 'ইস'।


০৩/৮/২০১৪


(সকল নারীদের জানাই নারী দিবসের শুভেচ্ছা)