উত্তপ্ত মরুভূমির উপত্যকায়,
যেখানে ধু ধু তপ্ত বালুকাবেলায়-
দূর দিগন্তের জলরেখা হাতছানি দেয়,
তৃষ্ণার্ত পথহারা নিত্য ছুটে যায়,
অবশেষে ক্লান্ত গোধূলি বেলায় দ্যাখে-
সে ছিল শুধুই মরিচিকা।
স্নিগ্ধ কুয়াশা ভেজা কাকভোরে,
নন্দিত ঝাউবন ছেড়ে আরও আরও দূরে,
ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে,
সমুদ্রের জলে বিধৌত নির্জন বালুচরে,
লবণাক্ত শীতল বাতাসে মেশে
ফিরতে না পারা, শ্বেত শুভ্র শঙ্খদের, আর্তনাদ।
ইচ্ছে হয়, ভেসে যেতে নীলাকাশে, মেঘেদের সাথে,
অবশেষে বৃষ্টি হয়ে পড়তে ঝরে-
শুকনো শস্যক্ষেতে,
আমার প্রাণের স্পর্শে, মাটির স্পন্দনে,
বীজ অঙ্কুরীত হয়ে, কিশলয় দু হাত বাড়িয়ে
জীবনের জয়গানে হবে সমবেত।
নিজের হৃদয়ের অভ্যন্তরে,
যা কিছু পাথরে চাপা আছে,
গুমরে গুমরে কাঁদে অবচেতনে।
দেখতে চাই, আবার স্মৃতির রোমন্থনে-
চাপা দেওয়া পাথরগুলো সরালে,
ফসিল কি প্রাণ ফিরে পাবে?