জলের ওপর বৃষ্টির ফোঁটা অবিরাম পড়ে যায়,
মুক্তোর ধারা খোলা কালো চুলে সজ্জিত থেকে যায়,
মাঝ গঙ্গায় রূপালি ইলিশ, জালে করে ধরপর-
ছটফট করে নৌকা গলুইয়ে চোখের পলকে স্থির।
অগুন্তি ছাতা ভীড় করে আছে, বাগবাজারের ঘাটে,
বাঙালি গর্ব হাতে নিতে চাই, হাজার দুয়েক মোটে।
পুকুরের ব্যাঙ আনন্দে ডাকে, গ্যাঙর গ্যাঙর গ্যাঙ,
জলে ভেসে চলে, আনন্দে সব ছড়াইয়া দুটি ঠ্যাঙ,
রুই, কাতলা, তেলাপিয়া চারা, মাগুর, শিঙির দল,
আলপনা এঁকে জলের ওপর অবিরাম চলাচল।
গভীর জলের বড় মাছগুলো, অবিরত ঘাই মারে,
কই মাছ গুলো ঘাটের ওপর, সারি সারি হেঁটে চলে।
ছাদ থেকে জল একটানা পড়ে, ঘটি বাটি ঘরে ভাসে,
তারের ওপর গাছ পড়ে আছে, বিদ্যুৎ নেই ঘরে,
ভিজে জবজব নেড়ি কুকুরটা, রিক্সাতে বসে কাঁপে,
অভাগা দুঃখী, পোঁটলা মাথায় উঁচু জায়গার খোঁজে,
ঘাটের সিঁড়ি সবই ডুবে গেছে, পুকুরটা গেছে ভেসে,
রাজহাঁস দুটি রাস্তা হারিয়ে, ঘুরে ফেরে ডেকে ডেকে।
সিক্ত বসনা, উদাস নয়না, বসে ছিল বাতায়নে,
মনের ময়ূরী মেলিল পেখম, গোধূলির লগনে
বৃষ্টি ভেজার আমন্ত্রণে চলে, ধীর পায়ে বাগিচাতে,
হৃদয়ে তাহার বাঁশীর সুরেতে, মেঘমল্লার বাজে-
নর্তকী আজ মেতেছে একাকী, জনহীন প্রান্তরে,
বর্ষা মঙ্গল লেখা ভরে যায়, কবিতার খাতাতে।