আগেই জবরদখল হয়ে গিয়েছিল স্বপ্নগুলো,
এখন ঘুমটাও বোধহয় একতরফাই বেহাত হয়ে গেলো,
বর্ষার মেঘ, উপায় নেই তারা গুণে সময় কাটাবার।
অগত্যা জেগে জেগেই স্বপ্ন দেখা:
সেও তো আবছা আবছা দৃশ্য নানান রঙবাহারি,
মনটা বড্ড চঞ্চল, কোন কিছুই ভালো লাগছে না।
পুবের আকাশটা আটপৌরে ফর্সা হলো বৃষ্টির মাঝে,
গহন মেঘের গুরু গুরু প্রভাত বন্দনায় দিনটার শুরু,
ক্ষুধার্ত পিপাসিত কামনা বাসনারা হলো বাঁধনহারা।
দক্ষিণের বারান্দায়, ঠাণ্ডা আমেজের লুটোপুটি,
একটা ভিজে কাক বিরক্তিকর কর্কশ ডাকে,
একাই সকালের আমেজটা পণ্ড করার ব্রতে নিয়োজিত।
রাতজাগা শরীরটা আজ মনটাকেও সাথ দিচ্ছে না,
টিভিতে চাঞ্চল্যকর প্রভাতী খবরও ভালো লাগল না,
জানলাটা খুলতেই সব চাঙ্গা, বেরিয়ে পড়লাম বৃষ্টিতে।
বাদলধারায় সিক্ত প্রকৃতি, আজ মাতোয়ারা সবুজে,
তিরতির করে বারিধারা রাস্তা বিধৌত করে অগ্রগণ্যা,
হৃদয় নিংড়ে নিয়ে আজ শুধু, অমলিন ভিজে যাওয়া।
বহুদিনের তপ্ত দহনে ঝলসানো দিন আজ আত্মহারা,
ফেটে চৌচির হওয়া মাঠেও জীবন স্পর্শের বন্দনা,
চারিদিকে একটা আনন্দের বাতাবরণের সীমাহীনতা।
বার্ধক্যে আজ কৈশোরের চঞ্চল মানসিকতার নিগূঢ়তায়
একের পর এক আবদ্ধ বাসনা গুলোর মুক্তির জয়গান,
এমন বর্ষার দিনে, প্রকৃতিও যে মাতে খামখেয়ালিপনায়।