আবছা আঁধারে জুঁই ফুল গাছে,
চুল এলো করা কোমর ছাড়িয়ে,
বাতাসে সুবাস মাতালো ঘ্রাণেতে,
শুভ্র সাদা তারা বিছিয়ে চুলেতে,
জুঁই গাছ আছে বাড়ির ছাদেতে।
আকাশের তারা জুঁইমালা সাজে,
মেখে চাঁদ আলো মুখটিপে হাসে,
ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকে ঝিঁঝিঁ সুর তুলে,
বাঁশীর আওয়াজ মাদকের সুরে,
রাতের ভ্রমর চুপিসাড়ে আসে।
শ্বেত শুভ্র নির্ঝর, ছাদ থেকে ঝুঁকে-
যতদূর দেখা যায়, ততদূর দ্যাখে,
সে কি কোনও প্রেমিকের, প্রত্যাশায় ঝুঁকে?
হয়ত হতেও পারে, কোনও বেণীমাধবকে-
হৃদয়ের কল্পনায় এঁকে।
উদাসী হাওয়ার ডাকে জুঁইফুল ঘ্রাণে-
আঁধার ঘন রাতে, নীরব অভিসারে,
বেণীমাধব এখনও কি আছে বহুদূরে?
কুয়াশা ঘেরা সিক্ত, চন্দ্রিমা জ্যোৎস্নায়-
জুঁইফুল গাছ ছাদে, আছে প্রতীক্ষায়।
বেণীমাধব বেণীমাধব
তোমার অপেক্ষায় আজ জুঁইগাছ,
মাথায় তাহার জুঁই মালা সাজ
চন্দ্রিমা শাড়ীতে ঘোমটার টান,
জুঁইগাছ সেজেছে যেন বনলতা সেন।
কুয়াশা ক্রমেই ঢাকে লোকালয়,
ছাদের কার্নিশে আসে নিশাচর,
রাতচেরা ডাকে সাবধান বাণী,
আকাশের নিচে মায়াবী হাতছানি,
বেণীমাধব, তুমি আর কতদূর?
নিবিড় ঘন রাত কুয়াশার ঢাকা
ঝাপসা অন্ধকার গাছপালা ভেজা,
চাঁদের আলোও প্রায় ম্রিয়মাণ
অস্পষ্ট বেণীমাধব মায়া, ক্রমে দৃশ্যমান,
সিক্ত বসনে, উল্লাসিতা বনলতা সেন।