উৎপাত নতুন নয়, চারাগাছ গরুতে মুড়িয়ে খায়,
যদি বা বেঁচে গেল,
তড়তড়িয়ে দোতলা ছাড়িয়ে উঠে যায়।
ফুল বা ফলের গাছ হলে
দল বেঁধে হাভাতেরা সবাই ঝাঁপায়।
নদীর ধারের বড় অশ্বত্থ গাছটি ছিল বেশ ঝাঁকালো,
নিচে বিষধর সাপ, আর ওপরে লাফাত বাঁদরগুলো,
দিনের বেলা কোটরে ঘাপটি মেরে
অন্ধকার রাতের জন্য, বসে থাকত প্যাঁচাগুলো,
গভীর রাতে চক্কর কাটত, রক্তচোষা বাদুরগুলো।
হঠাৎই গাছটি সংবাদের শিরোনামে,
নদীর উপরে সেতুর জন্য, গাছটি প্রতিস্থাপিত হবে দূরে।
বিরাট বিরাট যন্ত্র, সাথে টিভি চ্যানেলের গাড়ি পৌঁছল,
নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে, চারপাশের মাটি আলগা করে
উৎপাটিত গাছটি প্রতিস্থাপিত হলো, শহরের মাঝখানে।
নানান প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেও, যে গাছ ছিল অনড়,
এক দিনেই চূর্ণ হয়ে গেল, সেই গাছটির সমস্ত অহংকার,
নীরব সংগ্রাম শুরু, পরিবেশ দূষণ মানিয়ে নেবার।
সারাটা রাত, গাছটি নয়নাভিরাম আলোয় সেজে থাকে,
বিনা প্রতিবাদে মেনে নেয়, নতুন জীবন নতুন ভাবে।