রাত জেগে জেগে, চোখের তলায় কালি,
রজনী নিঝুম হয় ধীরে ধীরে,
শব্দ গুলোও অবশেষে ঘুমিয়ে পড়ে,
এভাবেই শেষ রাতটাও যখন অন্তঃপ্রায়,
দেওয়াল ঘড়িতে, ঢং ঢং ঢং বেজেছে অনেকক্ষণ,
শোনা যায়, দীর্ঘশ্বাসের কাতর আওয়াজ,
চোখ দুটোকে ডেকে বলে, ঘুমিয়ে পড়-
আজ আর কিছু হবে না।
ঠিক তখনই হার্ট বিট, দামামা বাজিয়ে বলে,
কিছু না হওয়াটাই তো হলো,
রাত তো কেটেই গেল,
ঐ দেখ, দিগন্তে সূর্যোদয়,
নতুন প্রত্যুষ, চরাচর রাঙিয়ে দিলো লালে,
পৃথিবীকে আলোকিত করার-
যে ভ্রান্ত দায় নিয়ে, রাত জেগেছিলে,
আজকের মতো সমাপ্ত হয়ে গেল।
ভোরের আলতো ঘুমটা, হটাৎ ভেঙ্গে গেল,
জানালায় বসা পাখি টার ডাকে,
ফিসফিস করে,ভোরের পাখি বলে গেল-
কয়েকটা রাত জেগেই ক্লান্ত হয়ে গেলে?
রোজ রাত জেগে জেগে একান্ত ভাবে
অবচেতন মনে জমা থাকা দৃশ্যগুলির সাথে
কাব্য চেতনা মিশিয়েই তো, কবিতা লেখা হবে।
অন্তর থেকে তখন কবীর সুমন ভেসে এল
হাল ছেড়ো না বন্ধু........