অসীম শুণ্য হতে বিচ্ছুরিত আলো,
বহু গ্রহ নক্ষত্রে, প্রতিফলিত হতে হতে এসেছিল,
জীবনের বিভিন্ন সময়ে।
আলোকিত জীবন, পরিপূর্ণ ছিল নানান আস্বাদে,
কখনও উচ্ছ্বাসে, কখনও অবসাদে,
কখনও বা স্তিমিত সমীরণে, শান্তি সৌগন্ধে।
কোনদিন হয়ত বা একান্তে আনমনে,
দূর নক্ষত্ররাজী প্রেরিত, ক্ষীণতর আলোক সংকেত,
অনুভূত হয় নি, আমার ইন্দ্রিয়ের সূক্ষ্ম চেতনাতে,
নিতান্তই অসাড়, অনভিপ্রেত, তাচ্ছিল্যে।
ব্যাথিত হৃদয়ে সে সংকেত, অপমানে পথচ্যুত হয়ে-
অপসৃত হয়েছিল, দিশাহীন কালের যাত্রাপথে।
জীবন প্রান্তে কোন বসন্তের অস্তমিত পূর্ণ চন্দ্রিমাতে,
ছিন্ন গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো বনবীথিতে,
একাকীত্বের আলোড়ন, বিরহ বেদনাতে!
প্রত্যাখ্যানের স্মৃতি, সততই মূর্ত হয়ে থাকে।
ঊষার রক্তিম সূর্যোদয়, হৃদয়ের প্রত্যন্ত গভীরে,
চিরস্থায়ী সৃষ্ট ক্ষত, আমৃত্যু সিঞ্চিত রক্ত ক্ষরণে।
নিরন্তর মহাজাগতিক রশ্মি সমুহের মাঝে-
দুরন্ত এ বিশ্ব আবর্তিত, নিজস্ব নির্দিষ্ট কক্ষপথে,
তাও কত কিছুই ঘটে যায়, সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতিতে।
পার্থিব জীবনও, বহমান ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে,
পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রাণ, নিরন্তর বিঘ্নিত ভ্রান্তিতে,
অন্তিমে কষ্ট পায়, জীবনের ধুসর প্রান্তরে।