তোমাকে দেখতে পাই অন্তরতম প্রকোষ্ঠঘরে
যথার্থ নীরবতায় ধ্যানস্থ অতলতলে থেকে
বিমূর্ত, শুদ্ধসত্ত্বা ঘিরে আছে জ্যোতি স্পষ্টতর,
নিঃশব্দের ছায়া সরে অকম্পিত স্থির আলো দ্যুতি
মহাকাল ছুঁয়ে, বিভোর মগ্নতায় কথাহীনতা
অমর কথার মালাগাঁথা ...


তোমাকে দেখতে পাই মূর্তিমতী শুভ্রশূচি হাসিতে, সোনা আভা আকাশের গায়ে উজ্জ্বল ছবি আঁকে ভোরের সূর্যালোক ফুল ফোটার আনন্দে, স্বপ্নমধুর সুগন্ধ বাতাসের ঢেউ ভৈরবীর সুরে...


তোমাকে দেখতে পাই মর্ত্যধূলায় মাটির গন্ধ  মেখে
ঘাসে ঘাসে আরক্ত অলক্তপায়ে চিহ্ন এঁকে              
ঝরা বকুলের ব্যাকুল নিশাস উষ্ণতা অনুভবে
আকুল মন জড়ায় শান্ত প্রেমে কোমল স্পর্শতা...


তোমাকে দেখতে পাই মধ্যদিনের খর সূর্য- তাপে, কঠিন ব্যস্ততায় ক্লান্তিহারা সব কাজের মাঝে
অমলিন হাসি স্নেহভরা মুখে কল্যাণী রূপ
সংসার জাগে দৃপ্ততেজে বিজয়িনীর মহতী গৌরবে.
.
তোমাকে দেখতে পাই দিনশেষের অস্তরাগে
গোধূলির রঙ্ মর্মে লাগে অপরূপ অনন্যা সাজে
নেমে আসে সন্ধ্যামেয়ে আলতো ধীর পায়ে
তুলসীতলায় আঁচল ঢেকে সাঁঝের প্রদীপ জ্বলে...


তোমাকে দেখতে পাই স্তব্ধরাতের শূন্য বুকে
কালোচুলে আঁধার ঢেলে ক্লান্তমুখে মধুরিমা মুখর
কুহক দৃষ্টি মেলে আকাশের তারা অগণ্য ক্ষীয়মান
চাঁদ, বিভোল প্রতীক্ষা খুলে গিয়ে স্বপ্নদুয়ার ছায়া-
আলোতে... একা জেগে থাকা রাত্রিযাম প্রহর গুণে
-- একটি রাত্রিশিখা, শুধু মৌন চেয়ে থাকা...