সেদিনও নদীর তীরে ছিলেম বসে।
মৃদু মিষ্টি পবন যাচ্ছিল মুখমণ্ডল মেখে।

ক্ষনেক বাদে এক উন্মাদ আসিল বসিল মম পাশে।
বহু স্নানহীন দিবস গিয়েছে গতে,গন্ধটা উগ্রই বটে।

পাশেই প্রায় তিনশত বৎসরের পুরাতন বিষ্ণু মন্দিরের স্থিততা।
তাহার ধূপও পুষ্প গন্ধাদিও মুছিতে নাহি পারে উন্মাদের গন্ধের উগ্রতা।

হঠাৎ  শুনিলাম সে বলিছে, "সবাই বেঁচে ও মরে আছে"।
ক্রমে আরও কিছু বাক্য পশিল মোর কর্ণে।

বোধদয় হল,দেরীতে হলেও বুঝলাম ও ব্রহ্মজ্ঞান জানে।
নিত্য মায়াবী এই জগতে আসলে সবাই ই "বেঁচে ও মরে আছে"।

জগতে দেহের এই আজব মিথ্যা আদর কেন দিলে মম চিত্তে?
জন্ম থেকেই সে সদা নাচিছে দেহ নিয়ে জন্মে ও মৃত্যুতে।