কাঁদো কাঁদো ত্বকে যখন বিদ্যুৎ হীন তীব্র গরম বাইরে,
রমণীর ঘোমটা পিঠ ছুঁয়ে যায়, চলে শরম বহু দূরে।
পখর গরমে ঘর্মগ্রন্থির সক্রিয়তায় আনে তৃষ্ণার আহ্বান,
তবুও উনানের বর্বরতায় রমণী দেয় রমণী হওয়ার প্রমাণ।।


সূর্যের ঝলসানো তেজে মাঠে কর্তার সারা শরীর যায় ভেজে,
তবু আসে না চলে কারণ খাবার জোটে এই কাজে।
ধেপে না পারার কাজ পিঠের সংঘর্ষে চোখের কোনে ভাঁজ,
সংসারের সুতো হাতে তাই করতে থাকে কাজ।।


তপ্ত মাটির পরশ পায়ে বাড়ি আসে চড়া দুপুরে,
ঘাম শুকনোর উপেক্ষা হারায় শরীর ভেজায় শীতল পুকুরে।
রমণীর হাতে পাখা দোলে নয়ন প্রেমের আবেশে,
রন্ধন সার্থক কর্তার প্রশংসা যখন ছাড়ে নিঃশ্বাসে।।


হাঁসফাঁস গরমে পারেও না বৃষ্টি চাইতে,
মাঠে কাজ রয়েছে পড়ে তাড়াতাড়ি হবে খাইতে।
জানালা-দুয়ার খোলা অসহ্য 'লু'-এর আনাগোনা হায়!
দুপুরে শয্যায় অশান্তি ঘামে হাতপাখা বিফলে যায়।।


ঘামাচির প্রকোপ গায়ে কি অশান্ত জ্বালা,
নোনাজল অপেক্ষা রত লাগলে হবে ভালা।
বিকেলে অল্প সময়ে হবেই বা কতটুকু কাজ,
যা হবে ভালোই হবে, পেলে কি হবে লাজ।।


রচনাকাল -
নিজ বাসভবন,
শনিবার ,২২/০৪/২০১৭,
দুপুর-১২ঃ১০,