অগো রুপসীনী
কত রুপ ধরে হাসো গ তুমি ;
কখনো মায়বিনী,
কখনো কঠোর হও,
কখনোবা স্নিগ্ধ শ্বারদসম
মধুর কথা কও।
আকাশের খোলা উঠোনে
কেশ ছড়ায়ে তুমি,
আড়চোখে চায়ে দেখো
ছায়ার বাদঁরামি।
নবীন পল্লব সবে
জাগাও তুমি সাড়া,
কিশোর ধানখেতে
স্বপনের প্রহড়া।
রুপসীনী তুমি যবে তাকাও
সমুদ্রের পানে,
ঢেউগুলো সাড়ি সাড়ি
মুক্তা আনে।
কূলে বসে শ্বেত বক
গায় তোমার গান,
নিশীতে নিশীত সূর্য
বলে তোমার শান।
কখনোবা রুপসীনী তুমি
মাধবকুন্ড হও,
কখনো আবার বাকাঁ নদী-
দূরদেশে বও।
আবার তুমি হীমপ্রভাত-
কনকনে শীতকালে,
রুপসীনী তুমি বহুরুপী
যাবো কতো বলে!