আজ আর মাথা খাটাতে পারছিনা
মাথায় আজ কি যেন হয়েছে
কিচ্ছু মনে রাখতে পারছিনা
সেই কবে.. যে? নাহ্! মনে পড়ছেনা


টনটন করছে- ব্যাথায় কাতর প্রায়
বিছানা ছেড়ে চাইছেনা মন উঠতে
তবুও কি করা- মুখে হাত উঠাবার তাগিদে
যেতে হবে বাহিরে
করতে হবে আয়- আনতে হবে দু’মুঠো চাল ও নুন
না হলে? কচি দু’টি আছে- না খেয়ে থাকতে হবে ওদের
ওদের কাঁন্নার আওয়াজ- আমাকে আজ বড্ড ভাবাই
কিচ্ছু যেন নেই করার- কি করবো
নাহ্! ভাবতে পারিনা- ব্যাথা করছে খুব
চিন্তা করতে করতে- যেন, কাহিল আজ


হায়রে অন্ন! হায়রে কাজ- তোকে পাই কোথায়
খুঁজছি, শুধুই খুঁজছি- আর খুঁজেই চলেছি।
মা মরা বোন- সাথে স্ত্রী হারা পিতা
পিতার কথা তখন উড়িয়ে দিয়ে- ভাবাবেসে চলেছিলাম উড়ে
কতদিন বলেছেন, কর একটু পড়াশোনা
শুনিনি তাঁর কথা- তখন বুঝিনি, বিদ্যার্জনের মর্ম
তাই আজ পথে পথে ঘুরি- সামান্য অন্নাভাবে।


না হচ্ছেনা ভাবা আজ- মাথার শিরাগুলো যেন কেমন টনটন করছে
খুব ব্যথা অনুভব হচ্ছে- পাগল হয়ে যাবো বোধ হয়
না! পাগল হলে চলবে না- ঘরে একটি বিবাহ যোগ্য বোন আছে
একমাত্র বোনকে- সৎপাত্রে, পাত্রস্থ করতে হবে
অনেক কাজ করতেই হবে- শুধু অন্য জোগাড়ে নয়
অর্থও চাই- অনেক অনেক


ভাবতে ভাবতে হারিয়ে গেলাম- গহীন অরণ্যে
হারিয়ে গেলাম গভীর ঘুমে- হঠাৎ
হা ঈশ্বর কি হলো এ- তুমি কি করলে
আমার হাত কই- গেল কোথায়
তবে, কি করে হবে- বোনের বিয়ে


কাঁদতে কাঁদতে যেন- পাষাণ পাথর
কথা নেই বার্তা নেই- অবশেষে, নিশ্চুপ নিথর।


(জানুয়ারী ১৩, ২০১৮)


দৃষ্টি আকর্ষণ- এই মাত্র ক’দিন আগের কথা। আমাদের এক প্রতিবেশি ট্রাক ড্রাইভার খুবই সৎপথে থেকে তিনি তার সংসার নির্বাহ করতেন। কাজে যাবার পূর্বে একসাথে বসে চা-সিগারেট খেয়ে যে যার কর্মস্থলে চলে যাই। রাতে বাড়ীতে ফিরে শুনতে পাই রোড একসিডেন্টে তিনি মারা গেছেন। কথাগুলো শুনে যেন আকাশ থেকে পড়ি। সেদিনের পর থেকে লিখবো লিখবো করে আর লেখা হয়ে ওঠেনি। আজ সকালে দোকানে বসতেই তাঁর (ওই ড্রাইভারের) কথা খুব মনে পড়ছিল। শুরু করলাম লিখতে আর সংক্ষিপ্তাকারে লিখতে লিখতে দাঁড়িয়ে যায় আবোল তাবোল কিছু শব্দ সমাহার। খুব একটা সংযোজন বিয়োজন না করেই পাতায় প্রকাশ করলাম। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।